Logo
×

Follow Us

নগর

পরীমণি ইস্যুতে ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল করছে একটি চক্র

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২১, ১৬:৪৯

পরীমণি ইস্যুতে ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল করছে একটি চক্র

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

নায়িকা পরীমণি ও সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া আরো দু'একজন মডেলের মামলার তদন্তের সুযোগে একটি চক্র কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম। 

পুলিশ কমিশনার বলেছেন, 'ভীতসন্ত্রস্ত' হয়ে কয়েকজন ওই চক্রকে টাকাও দিয়েছেন। এই চক্রে পুলিশের সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীরা যুক্ত রয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে সম্মানহানীর ভয়ে কেউ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে সামনে এগিয়ে না আসায় কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে বক্তব্য দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পরীমণি ইস্যুতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

গত ৪ অগাস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় কয়েক ঘণ্টার অভিযানের পর তাকে র‍্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ মদ ছাড়াও এলএসডি ও আইসের মতো মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে র‍্যাব দাবি করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয় এবং চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় আরো দুদিনের রিমান্ডে নেয়া হয় তাকে।

সাম্প্রতিক অভিযানে আরো কয়েকজন মডেল ও চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের বিরুদ্ধেও মাদক ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ আনা হয়।

পরবর্তী কয়েকদিন এসব নিয়ে ধারাবাহিকভাবে নানা প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাংলাদেশের গনমাধ্যমগুলো, যেগুলোর কয়েকটিতে পুলিশের বরাত দিয়ে খবর প্রকাশিত হয় যে, নায়িকা ও মডেলদের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ বা সম্পর্ক ছিল, তাদের তালিকা তৈরি করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এইরকম কোন তালিকা পুলিশ করছে না। তবে এই তালিকার খবরকে ব্যবহার করে 'একটি চক্র' ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে। 

''অনেকেই ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িতে থাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের কাছে জানতে চাইছে, ভাই আমি কি বাড়িতে থাকবো? কেন? আমাকে তো ওমুক মিডিয়া থেকে ফোন করা হয়েছে যে, পরীমণি নাকি আমার নাম বলেছে। অথবা পিয়াসা আমার নাম বলেছে। আমি কি বাড়িতে থাকবো?''

"আমাদের কাছে, আমাদের মন্ত্রী মহোদয়ের কাছেও অভিযোগ করেছেন যে, তার কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। আপনি যদি আমাকে এই পরিমাণ অর্থ না দেন, তাহলে আমাদের কাছে আপনার বিরুদ্ধে যে তথ্য আছে, সেটা দিয়ে নিউজ করে দেয়া হবে।''

পরীমণির মামলার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ''এখন মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। আমি সিআইডি চিফের সঙ্গে কথা বলেছি। উনিও পরিষ্কারভাবে বলেছেন, এই ধরনের কোন তালিকা তৈরি করার অথবা কাউকে অ্যারেস্ট করার কোন আইনগত ভিত্তি নেই এবং এই ধরনের কোন কাজ পুলিশের কোন সংস্থা করছে না।''

''এসব নিউজ করলে সামাজিকভাবে হয়তো তাকে হেনস্থা করা হবে, কিন্তু আইনগতভাবে উনি কোন অপরাধ করেছেন বলে আমি মনে করি না,'' বলেন ঢাকা পুলিশের কমিশনার। এরকম কোন বিষয়ে তারা তদন্ত করছেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫