রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ছবি : সংগৃহীত
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার রমনার বটমূলে সাড়ম্বরে শুরু হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সূর্য উদয়ের সাথে সাথে যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে অুনষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে নতুন বঙ্গাব্দ ১৪২৯–কে স্বাগত জানান শিল্পীরা।
ছায়ানটের ৮৫ জন শিল্পী বর্ষবরণ উৎসবে অংশ নেন। এসময় মঞ্চের সামনে বসে কয়েকশ মানুষকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে দেখা যায়। আর অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশ ঘিরে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজধানীর রমনার বটমূলে বর্ণাঢ্য এই আয়োজনের শুরু হয় ভোর ঠিক সোয়া ৬টার দিকে। এবারের মূল প্রতিপাদ্য- ‘নব আনন্দে জাগো’। এর ওপর ভিত্তি করে পুরো অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে।
ছায়ানটের বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে ৩৭টি আয়োজন দিয়ে। এর মধ্যে পঞ্চকবির গান, ব্রতচারীদের ‘বাংলা ভূমির প্রেমে আমার প্রাণ হইল পাগল’, লোকগান ‘নাও ছাইড়া দে মাঝি, পাল উড়াইয়া দে’ প্রভৃতি গান রয়েছে। সাথে থাকছে আবৃত্তি-পাঠের মতো বিষয়গুলোও।
রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই থেকে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের একটা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গও হয়ে উঠেছে ছায়ানটের বর্ষবরণের রেওয়াজ।
এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈরী পরিবেশের কারণে অনুষ্ঠান হতে পারেনি। আর ২০০১ সালে এ গানের অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা ভয়াবহ বোমা হামলা করলেও অনুষ্ঠান বন্ধ হয়নি।