
বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে শান্তি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। ছবি : সাম্প্রতিক দেশকাল
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা আগামীকাল রবিবার (১৫ মে)। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়।
বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত। এই পবিত্র তিথিতে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। এই দিনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন।
এ উপলক্ষে আজ শনিবার (১৪ মে) বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ ‘শুভ বৌদ্ধ পূর্ণিমা জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসব-২০২২’ এর আয়োজন করে। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে সকালে র্যালি শুরু হয়। সব ধর্মের মানুষের শান্তি শোভাযাত্রাটি শাহবাগ সংলগ্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ধর্মীয় উৎসবগুলো শুধু নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সব ধর্মের মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে। এগুলো ধর্মীয় উৎসব হলেও আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গিয়েছে। তাই আজকের দিনে আমি বলবো, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি; যারা মাঝে-মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তাদের অবদমিত করতে হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক আয়োজকদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে সংবিধানে বঙ্গবন্ধু সব ধর্ম পালনের স্বাধীনতা প্রণয়ন করেছেন। আর সেজন্য তিনি অসাম্প্রদায়িক শব্দটি সংবিধানে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের যে মূল কথা অহিংসা পরম ধর্ম, সব ধর্মের মূল কথাই এটি। এই নীতিকে যদি সবাই ধারণ করতে পারে তাহলে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকার কথা নয়।
এসময় বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিকসহ আরও অনেকে।
এরপর তথ্যমন্ত্রী ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন ঘোষণা করেন।