ছবি : সাম্প্রতিক দেশকাল
সিটি করপোরেশনের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) থাকলেও এর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বস্তিবাসী। বস্তি এলাকায় ময়লা জমতে থাকায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। অন্যদিকে, এসব ময়লা জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি করছে। বস্তির মানুষ নিজস্ব উদ্যোগে বর্জ্য এসটিএস পৌঁছে দিলেও, অনেক বর্জ্য থেকে যাচ্ছে বস্তিতে।
আজ বুধবার (২৫ মে) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক কার্যালয়-২ এ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা তুলে ধরেন আলোচকেরা।
দূষণমুক্ত ঢাকা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইউএসএইড এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহযোগিতায় ডিএসকে কনর্সোটিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় মিরপুরের মোল্লার বস্তি উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ভোটের অধিকার আছে, ভাতের অধিকার নেই। আমরা পুরোপুরি ভাসমান থাকি। মোল্লা বস্তিতে ২৮ বছর ধরে থাকি। সেখানে সিটি করপোরেশনের কোন কাজই আমি দেখিনি।
মোল্লা বস্তিতে ড্রেনের সমস্যা সবচেয়ে বড় সমস্যা। কারণ এখানে ড্রেনগুলোতে ময়লা জমে থাকে। এর ফলে সেই ময়লা রাস্তায়ও চলে আছে। আর সঙ্গে সঙ্গে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে যায়।
এলাকার মানুষজনকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিকল্প নেই জানিয়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা করি জনগণের জন্য। কিন্তু সাধারণ জনগণ কি আসলেই বুঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কি। ফলে এ মুহূর্তে দরকার জনগণকে ট্রেনিং দেওয়া। আগে মিরপুরে ব্যানার দিয়ে ভরা ছিল। আমি এসে সব ব্যানার উচ্ছেদ করছি। এখন শহর দেখতেই সুন্দর লাগছে। আমি মিরপুরে আমার কার্যালয়ে সপ্তাহে দুই দিন পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতার ওপর ট্রেনিং দেব। পরিষ্কার - পরিচ্ছন্নতার ট্রেনিং ছাড়া যতই আইন তৈরি হোক কোন সমাধান আসবে না।’
বস্তির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিটি করপোরেশনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত বলেন, ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কি শুধু বস্তিবাসীরাই দায়ী। বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট এ সবচেয়ে বেশি বর্জ্য অব্যবস্থাপনা করা হয়। সকল নাগরিকদের সেবা দিতে হবে। উঁচু-নিচু বিভেদ করলে কোন কিছুরই সমাধান হবে না। রাষ্ট্রকে ১০০ বছরের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করতে হবে। এ কাজ করতে না পারলে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কখনোই সম্ভব নয়।’