নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই কোরবানির পশুতে ভরে গেছে রাজধানীর আফতাবনগরসহ অস্থায়ী  কোরবানির পশুর হাটগুলো। আজ মঙ্গলবার (৫ জুলাই) থেকে ঢাকার কোরবানি পশুর অস্থায়ী হাটগুলোতে আনুষ্ঠানিক বেচাকেনা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এরইমধ্যে আফতাবনগর হাট থেকে অনেকেই পছন্দের গরু কিনছেন, যা অন্য কোনো হাটে সরেজমিনে গিয়ে তা চোখে পড়েনি। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, আফতাব নগর হাট ছাড়া রাজধানীর অন্য হাটগুলোতে এখনো বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হয়নি। গরু, ছাগলসহ কোরবানির পশু নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন বেপারি ও খামারিরা। বেশিরভাগ ক্রেতাই দরদাম করে চলে যান।

গতকাল সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে আফতাব নগর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটটির বেশিরভাগ জায়গাতেই কোরবানির পশু রাখা আছে। পাশেই ব্যবসায়ী ও খামারিরা বসে খোশগল্প করছেন। হাটের উত্তর অংশের আবাসিক এলাকার পাশে কোনো গরু রাখা হয়নি। হাটটির বেইলি ব্রিজের পাশেই রয়েছে ছাগলের হাট। সেখানে বিভিন্ন জাতের ছাগল উঠেছে। ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাগলের দাম হাঁকছেন বেপারিরা। হাটের সবচেয়ে বড়গুলো মেরাদিয়া ও কৃষ্ণচূড়া রোডের পাশে পাওয়া যাবে। পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বড় আকারের গরু নিয়ে এখানে রেখেছেন। 

গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ছাড়াও এই হাটে পাওয়া যাবে দুম্বাও। ইজারাদার প্রতিনিধি মো. আকাশ জানান, এ হাটে সব ধরনের পশুর সমাহার ঘটানো হয়েছে। যারা কম বাজেটে কোরবানি দেবেন তাদের জন্য ছোট ও মাঝারি সাইজের প্রচুর গরু রয়েছে। বড় গরু যাদের পছন্দ তাদের জন্যও আকর্ষণীয় গরু রয়েছে এ হাটে। আর্থিক নিরাপত্তাসহ বেপারিদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটটিতে মোট ১৩টি পশু বিক্রি হয়েছে। তবে বিক্রি কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হওয়ায় হাসিল ঘরের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়নি।

হাটটির ইজারাদার মিজানুর রহমান ধনু বলেন, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে যাদের কোরবানির পশু পছন্দ হচ্ছে তারা দুয়েকটি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ঈদের দুদিন আগে বেচাকেনা জমে ওঠে। লালন-পালনের জায়গা না থাকায় বেশি আগে পশু কিনতে চান না ঢাকার মানুষ। তবে ঢাকার পূর্বাঞ্চলসহ আশপাশের এলাকার মানুষ একটু আগেভাগেই গরু কিনে রাখেন। তাই আফতাবনগর, মেরাদিয়া ও আমুলিয়া কোরবানির পশুর হাটে একটু আগে থেকেই বেচাকেনা শুরু হয়ে যায়।

এদিকে মেরাদিয়া হটে ট্রাকে ট্রাকে আসছে কোরবানির পশু। তবে হাটজুড়ে গরু ছাড়া কিছুসংখ্যক ছাগল চোখে পড়েছে। এই হাটেও ক্রেতারা পশু দেখে দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। জমজমাট বিক্রির জন্য আরো দুদিন অপেক্ষা করা লাগবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।