আগামী ২৫ আগস্ট থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে করোনার টিকা। তার আগে আজ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট)  রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে ১৬ স্কুল শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে বিশেষভাবে তৈরি এই টিকা।

এদিকে মোহাম্মদপুরের আবুল বাশার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নিধি নন্দিনী দাসকে প্রথম টিকা দেওয়া হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আজকে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে শিশুদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করলাম। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সারা দেশে পুরোদমে টিকা কার্যক্রম চলবে। প্রথমে সিটি করপোরেশন এলাকায় শুরু হবে, তারপর পর্যায়ক্রমে সারা দেশে।

তিনি আরো বলেন, শিশুদের ফাইজারের তৈরি বিশেষ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই টিকা যুক্তরাষ্ট্রেও দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ওষুধ প্রশাসনও এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এটি শিশুদের জন্য একবারে নিরাপদ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, টিকার ক্ষেত্রে আমাদের বিরাট সাফল্য রয়েছে। ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৯৭ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ডোজ ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য হু, ইউএসএইড, ইউনিসেফ, যুক্তরাষ্ট্র সরকার, কোভেস্কসহ সবার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন— স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা. শামছুল হক, বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো সাইফুল হাসান বাদল, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।