
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম
সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তার স্বামী রেজাউল করিম
রেজা।
শনিবার (১৩ আগস্ট) তাকে আদালতে
হাজির করে কলাবাগান থানা পুলিশ। এরপর কেন, কী কারণে, কিভাবে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন
তা আদালতে বিস্তারিত বর্ণনা করেন রেজা। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর
নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার রাতে কলাবাগান
থানা পুলিশ ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের একটি আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে
জান্নাতুল নাইম সিদ্দিকীর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জান্নাতুলের স্বামী রেজাকে বৃহস্পতিবার
রাতে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকার একটি মেস থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
জান্নাতুল মগবাজারের ঢাকা কমিউনিটি
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে ঢাকা মেডিকেলে গাইনি বিষয়ে একটি কোর্স
করছিলেন। পরিবারের অমতে ২০২০ সালের অক্টোবরে রেজা ও জান্নাতুল বিয়ে করেন। বিয়ে করলেও
সংসার শুরু করা হয়ে ওঠেনি তাদের। বরং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করতেন তারা।
গত বুধবার সকালে জন্মদিন উদযাপনের
কথা বলে জান্নাতুলকে নিয়ে পান্থপথের ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট নামের আবাসিক
হোটেলে উঠেন রেজা। পরে ওই হোটেল থেকে জান্নাতুলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় জান্নাতুলের বাবা ডা.
শফিকুল আলম বাদি হয়ে রেজার বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বৃহস্পতিবার
রাতে তাকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে
র্যাব জানায়, রেজা একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর
মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরেই জান্নাতুলকে হত্যা করা হয়। এদিন দুপুরে রেজাকে কলাবাগান
থানায় সোপর্দ করে র্যাব।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে রেজাকে আদালতে হাজির করা
হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। দুই বছর বিয়ে করেও সংসার শুরু করতে না পারায়
ক্ষোভ ছিল রেজার। এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে তার ব্যাংকের চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকে স্ত্রী
তাকে ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিতেন। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এসব কারণেই স্ত্রীকে
হত্যা করেছেন বলে রেজা স্বীকার করেছেন।