
সংগীত পরিবেশন করছে পারমিতা প্রমা ও অনন্যা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নানান পেশা ও নেশার মানুষের পদচারণামুখর সৃষ্টিশীল আড্ডার স্থান ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন সৃজনশীল মানুষদের মিলনকেন্দ্র হয়ে উঠলেও নানান কারণে তার ধারাবাহিকতা বেশি দিন থাকেনি। যে সব স্থান ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে তার বেশিরভাগই কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কিংবা ধর্মীয় মতাদর্শকেন্দ্রিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
এমনি এক বিরুদ্ধস্রোতের মাঝেও ত্রিশ বছর ধরে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মী, সমাজসেবী ও জ্ঞানপিপাসুদের অন্যতম মিলন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র।
আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের ২দিনব্যাপী ৩১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন শুরু হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, স্বাধীনতা পুরষ্কার প্রাপ্ত দেশবরেণ্য আবৃত্তিজন আশরাফুল আলম।
উদ্বোধনী বক্তৃতায় আশরাফুল আলম বলেন, উদ্বোধন ঘোষণার আগে আমি যখন বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম তখন সংস্কৃতকর্মী পরিতোষ বড়ুয়া আমাকে বলে এখানেতো আসতেই হয়। এটাতো তীর্থভূমি। এই যে একজন সংস্কৃতকর্মীর কাছে এই তীর্থভূমি শব্দটা শুনতে পাওয়া এইটাই সর্বোচ্চ পাওয়া, সর্বোচ্চ প্রশংসা। আমি বলি এই কেন্দ্র হচ্ছে নক্ষত্রভূমি।
তিনি আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠান যে কার্যক্রম করে থাকে তা মানসিক বিকাশ কেন্দ্র। চর্চার মাধ্যমে মানুষের মানসিক বৃত্তির বিকাশ। এখানে কর্পোরেট আবহাওয়া নেই। এখানে যারা কাজ করেন প্রত্যেকে সহজ, সাধারণ হয়েই প্রত্যেকের কাছে যান।
পরে তিনি উপস্থিত সকলের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি বলেন, সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চার অভাবে বারবার প্রতিক্রিয়াশীলরাই ক্ষমতায় যাচ্ছে। সারা বিশ্বের একই পরিস্থিতি। মানবিক মানুষ হয়ে উঠার জন্য, বিকশিত হওয়ার জন্য সুষ্ঠু সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।
উদ্বোধন ঘোষণার পরে কল্পরেখা সংগঠনের শিশুদের আবৃত্তি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক আয়োজন শুরু হয়।
আগামীকাল শনিবার দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের ৩১তম বর্ষপূর্তি আয়োজন সমাপ্ত হবে।