বুয়েট ছাত্র ফারদিন হত্যার রহস্য আরো ঘনীভূত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ২৩:৪৪

বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ। ছবি: সংগৃহীত
সময় যাওয়ার সাথে সাথে বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা রহস্য আরো ঘনীভূত হচ্ছে। ৩০ দিন হতে চললেও কারা কি কারণে ফারদিনকে খুন করেছে সে হিসাব মেলাতে পারছে না কেউ।
কারা কি কারণে ফারদিনকে হত্যা করলো এমন প্রশ্ন নিয়ে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গণমাধ্যমের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও উত্তর পাচ্ছেন না ফারদিন নুরের বাবা কাজী নুর উদ্দিন।
মনের কথা তুলে ধরবেন এই আশায় ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন গণমাধ্যমের পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন সরকারি চাকরি ছেড়ে। কিন্তু সেই গণমাধ্যমেই মনের কথা এভাবে তুলে ধরতে হবে ভাবতে পারেননি।
গত ৪ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটছাত্র ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডের স্থান এবং সময় নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেলেও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না কেউ।
যদিও এই ঘটনায় ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। যে মামলায় বুশরাকে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কারণ নিখোঁজের দিন বিকেল থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজে ফারদিনের সঙ্গে বুশরাকে দেখা যায়। পরে এই মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় গোয়েন্দা পুলিশ।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে আলাদা তদন্ত করছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাদের দাবি মাদককে কেন্দ্র করেই খুন হন ফারদিন। যার নেপথ্যে চনপাড়ার রায়হান বাহিনী।
যদিও এমন দাবি মানতে নারাজ মূল তদন্তকারী সংস্থা ডিবি। ফারদিনকে কখন, কোথায় খুন করা হলো? এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি তারা। চিহ্নিত করা যায়নি ফারদিনের খুনিদেরও।
দুটি সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে, ফারদিন হত্যা রহস্য আরো ঘনীভূত হয়েছে। পিছিয়ে নেই গণমাধ্যমও। গেল একমাস ধরে এই হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে নানা রকম খবর প্রচার করা হয়েছে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে।
প্রশ্ন হলো ফারদিন হত্যাকাণ্ডে মাদকের সূত্র কি? আর সেটি চনপাড়ায় কেন? নাকি ঘটনার পেছনে অন্য কোনও রহস্য আছে।
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যাকাণ্ড চনপাড়ায় হয়েছে কি না, সেটিও আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। জানার চেষ্টা করেছি চনপাড়া গড়ে ওঠার পেছনের গল্পও।