-639d957c0d25a.jpg)
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান কর্তৃক অর্থ সহায়তা দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এছাড়া তার সমর্থনেই ছেলে ডা. রাফাত জঙ্গিবাদে জড়ান বলে দাবি করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সে নিজে (জামায়াতের আমির) জেনে শুনে তার ছেলের জঙ্গিবাদে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি সমর্থন করেছে এবং অর্থায়ন করেছে। বাবার কাছে থেকে অর্থ সহায়তা পেয়ে সে অন্যান্য জঙ্গিদের সংগঠিত করেছে। সেই কারণেই তাকে (ডা. শফিকুর রহমান) আমরা গ্রেপ্তার করেছি, জঙ্গিবাদে অর্থায়নের জন্য। আমরা খবর পেয়েছি তাদের (জামায়াত) প্রত্যক্ষ মদদে বেশ কিছু জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
জামায়াতের অন্য কোনো নেতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আরও কিছু তথ্য পেয়েছি, আমাদের অভিযান চলছে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এখনই সেসব তথ্য প্রকাশ করছি না। অভিযান সফল হওয়ার পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।
আদালত থেকে দুই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমরা পাচ্ছি। ঘটনার সময় যেসব পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে ছিল, সেখানে যাদের গাফিলতি ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশসহ অন্যদের করণীয় বিষয়ে রিপোর্টে বলা হবে।
পলাতক দুই জঙ্গির গ্রেপ্তারের অগ্রগতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের নজরদারিতে শুধু সেই দুজনই না, জঙ্গি ছিনতাইয়ে যারা জড়িত রয়েছে তাদের অনেককে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।