
বুয়েট শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার বিষয়ে গতকাল শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) তার সহপাঠীদের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে র্যাব। ফারদিনের স্বেচ্ছামৃত্যুর বিষয়ে র্যাবের যে দাবি তা তুলে ধরা হয়।
গতকাল র্যাব সদর দপ্তরে বুয়েট শিক্ষার্থীরা দেখা করার পর আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, ফারদিনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাব যে তথ্য জানিয়েছে এতে তারা সন্তুষ্ট। একইসাথে ফারদিন হত্যা নিয়ে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেন তারা। বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা র্যাব ও ডিবি সাথে সাক্ষাৎকারের সময় মূলত পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন তুলি। তাদের দেখানো এভিডেন্স এবং ডাটার মধ্যে আমাদের করা প্রশ্নগুলোর মোটামুটি সন্তোষজনক উত্তর পেয়েছি। তারা যা যা ডাটা দেখিয়েছেন এতে আর সন্দেহ করার মতো তথ্য আমাদের কাছে আর নাই।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, আপাতত ফারদিনের মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের আর কোনো কর্মসূচি নেই। তবে ফারদিনের পরিবার যদি যৌক্তিক কোনো কিছু দাবি করেন আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। তবে আমাদের কাছে এই বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন করার মতো কোনো এলিমেন্ট নেই। ভবিষ্যতে যদি নতুন করে কোনো তথ্য আসে তখন বিষয়টা নিয়ে আবার কথা বলব।
উল্লেখ্য, বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) র্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দাবি করে, ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি। তিনি ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ডিবি পারিবারিক চাপ, দুই ভাইয়ের পড়াশোনার টাকা জোগানো, ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে স্পেনে যাওয়ার টাকা সংগ্রহ করতে না পারাকে উল্লেখ করে।
তবে র্যাব ও ডিবির দাবি মানতে নারাজ ফারদিনের বাবা।