Logo
×

Follow Us

নগর

এই ভোগান্তি শেষ হবে কবে

Icon

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২২, ০৯:১৯

এই ভোগান্তি শেষ হবে কবে

রাজধানীর শ্যমলী থেকে তোলা ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে সরকারের নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এলাকাভিত্তিক শিডিউল অনুসারে লোডশেডিং, সপ্তাহে দুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সরকারি অফিস সূচির পরিবর্তন প্রভৃতি নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার চাইছে বিদ্যুৎ ব্যবহারের লাগাম টেনে ধরতে। সরকার জনসাধারণের মঙ্গল চাইবে এটাই স্বাভাবিক। সেই চাওয়ার প্রেক্ষিতেই হয়তো এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। কিন্তু চরম বাস্তবতা হলো, সরকারের গ্রহণ করা সবগুলো জনসাধারণের জন্য চরম ভোগান্তি ডেকে এনেছে। জীবনযাপন একরকম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সবার। এমনটাই মনে করছেন দেশের সুশীল নাগরিকরা।

সম্প্রতি সরকারি নতুন নিয়মে একই সময় স্কুল আর অফিস হওয়াতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা। আবার মা-বাবা দুজনেই কর্মজীবী হলে বিপদের কোনো সীমা নেই তাদের। সময় মেলাতে অনেকেই সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন গৃহকর্মী বা গাড়িচালক দিয়ে। তবে কিছুদিনের মধ্যে নতুন নিয়মে সবাই মানিয়ে নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কেউ কেউ। এই ভোগান্তি আদৌতে কমবে কিনা সেটাই এখন অজানা রহস্য। যেই শহরে যানজট শুরু হতো ৯টার পর সেই শহরে যানজটের ভোগান্তি শুরু হয় সকাল ৭টা থেকেই। এর শেষ কোথায় তা নিয়েই দেখা দিয়েছে- এক অজানা শঙ্কা।

এর আগে গ্রহণ করা এলাকাভিত্তিক শিডিউল অনুসারে লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্তের ফলে যে ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশবাসী সেই ভোগান্তি থেকে এখনো বের হতে পারেননি তারা। লোডশেডিংযের যেই শিডিউল তো কোথাও মানা হচ্ছে না। এই নিয়ম চালুর প্রথম দিকে মানুষ ভোগান্তির কথা কিছুটা বলেছেন। এখন সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। গ্রাম বা শহর সর্বত্র একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে। ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও সারাদিনে মিলিয়ে ১৬/১৭ ঘণ্টাও লোডশেডিং হওয়ার ঘটনা রয়েছে। এই দেশে একবার কোনো বিষয় চালু হয়ে গেলে তা নিয়মে পরিণত হয়। সেসময় সেই ভোগান্তি বয়ে বেড়াতে হয় দীর্ঘদিন। রাজধানীর বাসাবোর এক স্থানীয় বাসিন্দা এভাবেই আক্ষেপের কথা জানান।

এদিকে, নতুন সূচি নিয়ে অভিভাবকরা বলছেন, অফিস স্কুল একই সময় হওয়াতে আমরা খুবই সমস্যায় পড়েছি। তবে সরকারি নিয়ম তো মেনে নিতেই হবে। এতে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ হলে আমাদের জন্যই ভালো। 

এদিকে কর্মজীবীদের সাথে ব্যস্ততা বেড়েছে গৃহিণীদেরও। অল্প সময়ে স্বামী ও সন্তানকে প্রস্তুত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তারা। তারা বলছেন, একটু সমস্যার মধ্যেই যেতে হচ্ছে। কিছুই করার নাই। তবে এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হলে আমাদের জন্য ভালো হবে। আমাদের পরিবারের জন্য ভালো হবে। 

অভিভাবকদের সমস্যার পাশাপাশি এদিকে একই সময়ে স্কুল আর অফিস হওয়ায় পুরো রাজধানী বাসীর জীবন এখন যানজটে বন্দী।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫