এখনও কাজে ফেরেননি মামলার আসামি পুলিশকর্তারা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যার ঘটনায় করা কয়েকটি মামলায় পুলিশের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে। তাদের কয়েকজন চাকরিতে বহাল থাকলেও কর্মস্থলে যাচ্ছেন না। জানা গেছে, এইসব পুলিশ সদস্যের বিষয়ে নিয়মিত তাদের কর্মস্থলে ও পুলিশ সদর দপ্তরে অনেকেই খোঁজ নিচ্ছেন। তাই কর্মস্থলে হামলার আশঙ্কায় ওই কর্মকর্তারা কাজে যোগ দিচ্ছেন না। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইএমএস (কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত তথ্যভান্ডার) হ্যাক হয়েছিল। সেখানে কর্মকর্তাদের বাসা-বাড়ির ঠিকানা ও ব্যক্তিগত তথ্য ছিল। ঢাকায় বসবাস করা ওই কর্মকর্তাদের কারও কারও বাসায় পরে হামলা হয়েছে। 

তবে বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে দিয়ে ডিএমপির কমিশনার (চলতি দায়িত্ব) মো. মাইনুল হাসান সংবাদমাধ্যমে জানান, ইতিমধ্যে অনেকের বদলি হয়েছে। তারা স্টেশন ত্যাগ করছেন। যারা আছেন তাদের অনেকেই অফিস করা শুরু করেছেন। 

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত মঙ্গলবার ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের (সিটিটিসি) কার্যালয়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের তেমন দেখা যায়নি। সেদিন ডিবি ও সিটিটিসিতে সাত-আটজন করে কর্মকর্তাকে দেখা গেছে। ডিবিতে গুলশান বিভাগের নেতৃত্বে আসামিদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। অন্য সাত ইউনিটের সেভাবে কার্যক্রম নেই। সিটিটিসির সদ্য সাবেক প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সাত দিন পরও কেউ তার স্থলাভিষিক্ত হননি। ডিবি ইউনিটের প্রধানও ছিলেন না ১০ দিন। 

এর আগে কাজে না ফেরা পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেঠিছলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদ্য সাবেক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পুলিশের ফোর্স এখনো জয়েন করেনি। তাদের জন্য শেষ সময় হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)। আপনারা যদি বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে কেউ না আসেন, আমরা ধরে নেব আপনারা চাকরিতে আসতে ইচ্ছুক নন। 

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেছিলেন, এই বৃহস্পতিবারের (১৫ আগস্ট) মধ্যে যে যার জায়গায় চলে যাবেন, ডিউটিতে থাকবেন। যা হয়ে গেছে, অহেতুক কেউ কারও গায়ে হাত তুলবেন না। বিচার করার প্রক্রিয়া আমরা করব। বিচার বিভাগ বিচার করবে। যারা দোষী হবেন, বড় দোষী, ছোট দোষী যেই হোক, তাদের পানিশমেন্ট (শাস্তি) হবে। ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //