-641c4614ca8e2.jpg)
ব্যাট হাতে মাঠে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ছবি: সংগৃহীত
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের রান পাহাড়ে চাপা পড়েছিল সফরকারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) শুরুতে বাংলাদেশকে ১০২ রানের টার্গেট দেয় আয়ারল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে আয়ারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ২৮.১ ওভারে ১০১ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা।
জবাবে ১০২ রানের লক্ষ্যে মাঠে নামে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুজনের ব্যাটেই দেখা গেছে স্ট্রোকের ফুলঝুড়ি। একটা সময় মনে হচ্ছিল কেউই ফিফটি পাবেন না।
তবে ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন লিটন। অপরাজিত থাকেন ১০ চারে ৫০ রানে। মাত্র ১৩.১ ওভারেই ১০ উইকেটে জিতে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪১ রানে।
এর আগে, সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে অল-আউট হয় আয়ারল্যান্ড।
বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সামনে তারা মুখ থুবড়ে পড়ে। দলীয় ১২ রানেই প্রথম শিকার ধরেন হাসান মাহমুদ। অপর ওপেনার পল স্টার্লিংকেও (৭) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই পেসার।
এরপর আর নূন্যতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি আইরিশরা। ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদরা এতটাই বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন যে, স্পিনারের প্রয়োজনই হয়নি। বাংলাদেশের পেস আক্রমণেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে।
৬৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ৭৯ রানেই নেই ৮টি! সাকিব তো বোলিংই করেননি। নাসুম-মিরাজ করেছেন মোট ৪ ওভার। একটা সময় মনে হচ্ছিল আইরিশরা একশ রানও করতে পারবে না। তবে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত তারা ১০১ রানে অল-আউট হয়।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রান লরকান টাকারের। এই দুজন ছাড়া আইরিশদের কেউ দুই অংক ছুঁতে পারেননি। হাসান মাহমুদ ৩২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। এছাড়া তাসকিন ২৬ রানে ৩টি আর এবাদত ২৯ রানে ২ উইকেট নেন।