
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শামীমের ব্যাটিং। ছবি: সংগৃহীত
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিকরা।
তবে শেষ ম্যাচে এসে খেই হারিয়ে ফেলেন টাইগাররা। তাদের মধ্যে দায়িত্বজ্ঞানের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম কেবল শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
একের পর এক উইকেট হারিয়ে একশর আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল সাকিব আল হাসানের দলের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বলতে গেলে একাই লড়াই করেন শামীম।
তার লড়াকু হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে আইরিশদের বিপক্ষে টেনেটুনে সম্মানজনক পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৪ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে ১২৪ রানে।
এদিন ফিওন হ্যান্ডকে প্রথম বলেই ফ্লিক করে চার হাঁকান লিটন দাস। ওই ওভারে আসে ৯ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল থেকেই ছন্দ পতনের শুরু হয় বাংলাদেশের।
মার্ক অ্যাডায়ারের অফ স্টাম্পের বাইরের বাজে বলে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৪ বলে ৫ রান করেন লিটন। তিন নম্বরে খেলতে নেমে রান পাননি নাজমুল হোসেন শান্তও। ৮ বল খেলে ৪ রান করে কার্টিস ক্যাম্পারের হাতে ক্যাচ দিয়ে হ্যারি টেক্টরের বলে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও ৬ বলে ৬ রান করে আউট হন। আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া উদ্বোধনী ব্যাটার রনি তালুকদারও পারেননি এদিন রান করতে। ৩ চারে ১০ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর দলকে অনেকটা একাই টেনেছেন শামীম হোসেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৫১ রান করেন তিনি। ফিওন হ্যান্ডের বলে জর্জ ডকরেলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শামীম। এছাড়া নাসুম হোসেন ১৭ বলে ১৩ ও তাওহিদ হৃদয় ১০ বলে ১২ রান করেন।
আইরিশদের পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মার্ক অ্যাডায়ার। ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ম্যাথিউ হামফ্রিসও। এছাড়া ফিওন হ্যান্ড, হেরি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্পার, বেন হোয়াইট ও গ্যারেথ ডিল্যানি একটি করে উইকেট নেন।