
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একটি দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত
৮৬ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজের ১-০তে এগিয়ে গেল কিউইরা। আজ শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপে ২৫৪ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কিউই স্পিনার সোধির ঘূর্নিতে ১৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় টাইগাররা।
২৫৫ রানের লক্ষ্যে সতর্ক শুরু করেছিল বাংলাদেশ দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। প্রথম পাঁচ ওভারে দুজনই খেলেছেন সতর্কভাবে। তাদের জুটিতেই আসে ১৯ রান। তবে শুরুতে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া লিটন কাজে লাগাতে পারেননি নিজেকে।
ফিরে গেছেন জেমিসনের বলে। তার ডেলিভারিতে টপ এজ হয়ে বল চলে যায় ডিপ থার্ডে। সেটা লুফে নেন রাচিন রবীন্দ্র। ফেরার আগে ১৬ বলে ৬ রান করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জুনিয়র তামিমকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করছে সিনিয়র তামিম। লিটন দাস ফিরে যাওয়ার পর দুই তামিমে রানের চাকা সচল হয় বাংলাদেশের।
তাদের ব্যাটে দ্রুত গতিতে উঠে রান। প্রথম ৫ ওভারে যেখানে ছিল ১৭ রান। পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে দলীয় রান এখন ৫৪। তবে দলীয় ৬০ রানে জুনিয়র তামিম আউট হলে ভাঙে ৪১ রানের জুটি। এরপর তৃতীয় উকেটে নামেন সৌম্য সরকার। তবে ২ বছর পর সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমান করতে ব্যর্থ এই বাঁহাতি ব্যাটার। দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে পথ ধরেন তিনি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে নামা তাওহীদ হৃদয়ও নিজের সুবিচার করতে পারলেন না। নিজের নামের পাশে ৪ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এরপর বাইশ গজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার সঙ্গে ২২ রানের জুটি গড়েন তামিম। কিন্তু সোধির বলে সুইপ করতে গিয়ে টম ব্লান্ডেলের তালুবন্দী হন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক। আউট হওয়ার আগে ৪৪ রান করেন তিনি।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে কিউই বোলারদের চাপ সামলে শেখ মেহেদীকে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন অভিজ্ঞ রিয়াদ। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। তবে দলীয় ১৩৪ রানে মেহেদী আউট হলে টাইগারদের শেষ ভরসাও হারায়। এরপর নাসুমকে নিয়ে হারের ব্যবধান কমিয়ে আনতে থাকে অভিজ্ঞ রিয়াদ।
তবে দলীয় ১৪৯ রানে নিজের ব্যাক্তিগত অর্ধশতকের ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন রিয়াদ। কোল ম্যাকনকির বোলে আউট হবার আগে ৪৯ করেন তিনি।