Logo
×

Follow Us

ক্রিকেট

৫ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩৪

৫ রানের হারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচের দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত

উইকেটের পেছনে মাহফুজুর রহমান রাব্বির ক্যাচ নিলেন সাদ বেগ। তিনি নিজেই দুই হাত উঁচিয়ে সতীর্থদের উজ্জীবিত করতে চাইলেন। বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে রাজ্যের হতাশা। অষ্টম উইকেটে রাব্বির এই উইকেটই যেন বাংলাদেশের হতাশার গল্প লিখে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে। সেখান থেকে অলৌকিক কিছু করা হয়নি আর শেষ পর্যন্ত। 

যুব বিশ্বকাপের সেমিতে যেতে ৩৮ ওভারে ম্যাচ শেষ করতে হতো বাংলাদেশকে। কিন্তু নির্ধারিত সেই ওভার তো বটেই, পুরো ম্যাচটাই বাংলাদেশের জেতা হলো না। সেমিফাইনালের অনেকটা কাছে গিয়েও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে যুবা টাইগাররা ম্যাচ হেরেছে ৫ রানে। পাকিস্তানের ১৫৫ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে গিয়ে জুনিয়র টাইগাররা অলআউট হয়েছে ১৫০ রানে। 

প্রথম ইনিংস শেষের পর বাংলাদেশ হারবে, এমন বাজি ধরার লোক খুব কমই ছিলেন। এমনকি পাকিস্তানের খেলোয়াড়রাই হয়ত বিশ্বাস করতে পারেননি নিজেদের এমন ভাগ্যের কথা। তবে উবাইদ শাহ একাই শেষ করলেন টাইগারদের স্বপ্ন। তার বোলিং তোপে পুড়ে ছাই হলো বাংলাদেশের সেমিফাইনালের আশা। একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। আলী রাজার ভাগ্যে গিয়েছে ৩ উইকেট। তাতেই বাংলাদেশ ফিরল সেমিফাইনালের একদম কাছ থেকে।

পাকিস্তানের দেওয়া ১৫৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি টাইগার দুই ওপেনারের কেউই। ১২ বলে ১৯ রান করে জিশান আউট হলে, ১১ বলে ৪ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শিবলি।

এরপর আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেনি এই ডান হাতি ব্যাটারও। ২০ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এতে দলীয় ৪৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে আহরার আমিন ও আরিফুলের ব্যাটে চাপ সামলে এগোতে থাকে তারা।

কিন্তু টাইগার এই জুটি ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই পাকিস্তান বোলার উবাইদ শাহ ভাঙেন এই জুটি। ম্যাচের ১৬তম ওভারে আহরারকে সাজঘরে ফেরান তিনি। পরের ওভারেই আরিফুলের উইকেট তুলে নেন আলি রাজা। উড়ন্ত ক্যাচে আরিফুলকে তালুবন্দী করেন শামিল।

ফলে দলীয় ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে স্নায়ুচাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে অধিনায়ক রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন জেমস। তাদের জুটিতে চাপ সামলে আবারও সেমিফাইনালে যাবার স্বপ্ন বুনতে থাকে টাইগার যুবরা। তবে দলীয় ১২৩ রানে জেমস আউট হলে ভাঙে ৪০ রানের এই জুটি।

প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ২৬ রান করেন তিনি। সঙ্গী আউট হলে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন রাব্বিও। দলীয় ১২৪ রানে অধিনায়ক রাব্বি সাজঘরে যাবার আগে করেন ১৩ রান। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি টাইগার যুবরা। শেষ পর্যন্ত ১৫০ রানে অলআউট হলে সেমিফাইনালে যাবার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। ফলে সুপার সিক্স থেকে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয় টাইগার যুবদের।

এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন শামিল হোসেন ও শাহজাইব খান। ম্যাচের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। তবে জুটি গড়ে শক্তিশালী হয়ে উঠার আগেই ম্যাচের নবম ওভারে এ জুটিতে আঘাত হানেন রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ। দলীয় ৩৭ রানে শামিল হোসেন আউট হবার আগে ১৯ রান করেন তিনি। 

এরপর উইকেটে আসেন আজান আওয়াস। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই তাকে সাজঘরের পথ দেখান বর্ষণ। এরপর ক্রিজে আসেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সাঈদ বেগ। দুর্দান্ত থ্রোতে তাকে রান আউট করেন আরিফুল ইসলাম। সাঈদের বিদায়ের পরেই উইকেট বিলিয়ে দেন পাকিস্তান ওপেনার শাহজাইব খানও। দলীয় ৭৬ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ২৬ রান করেন তিনি। 

৮৯ রানের ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে পাকিস্তান। কিন্তু সপ্তম উইকেটে আসফান্দ ও মিনহাজের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে তোলে তারা। এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এ জুটিতে আঘাত হানেন শেখ পারভেজ। দলীয় ১৩২ রানে আসফান্দ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। তাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাবর-রিজওয়ানদের উত্তরসূরীরা। 

শেষ পর্যন্ত ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন রোহানাত দৌল্লাহ বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫