জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে দরকার ছিল ১৪ রান। সেই সমীকরণ সহজে মিলিয়েছেন রায়ান বার্ল ও এনামুল হক বিজয়। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৫৬ বলে নিরবচ্ছিন্ন ১০৬ রানের জুটিতে দাপুটে জয় পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী। মিরপুরে আজ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালকে হারিয়েছে ১১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে। 

টুর্নামেন্টে রাজশাহীর এটি প্রথম জয়। আর টানা দুই ম্যাচেই হারল ঢাকা। দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো স্কোরই পেয়েছিল তারা। শাহাদাত হোসেন দিপুর (৫০) ফিফটিতে ৯ উইকেটে করে ১৭৪ রান। ৪৬ রান করেন স্টেফেন এসকিনাজি। ৯ বলে ২১ রানের ক্যামিও খেলেন অধিনায়ক থিসারা পেরেরা।

ইনিংসের শুরুতেই বিপদে পড়েছিল ঢাকা। তাসকিন আহমেদের তোপে ১৪ রানে হারিয়ে বসে ২ দুই ওপেনারকে। এরপরই ৭৯ রানের জুটি গড়েন এসকিনাজি-শাহাদাত। সেই জুটি ছিন্ন হতেই আবার শুরু হয় তাসকিনের তোপ। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে কুয়াশামাখা বিকেলে আগুনে বোলিং করেছেন বাংলাদেশি পেসার।

৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে সাদা বলের ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা ৭ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। গড়েছেন রেকর্ডও। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তো বটে, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি। 

তাসকিনের আগে টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে বেশি উইকেটে নেওয়ার রেকর্ড ছিল সিঙ্গাপুরের সাজরুল ইদ্রুস ও কলিন আকারম্যানের। কুয়ালালামপুরে ২০২৩ সালে চীনের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ইদ্রুস। তাঁর আগে প্রথমবার এই কীর্তিটি গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার আকারম্যান। ২০১৯ সালে ইংলিশ কাউন্টি ম্যাচে লেস্টারশায়ারের হয়ে ১৮ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। 

ঢাকার লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহী প্রথম ওভারেই হারায় ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকে (১২)। মুকিদুল ইসলামের বলে শূন্য রানে ফেরেন আরেক ওপেনার জিশান আলমও। এরপর ইয়াসির আলী রাব্বি (২২) বিদায় নিলেও আর সমস্যা পড়তে হয়নি রাজশাহীকে। বার্লকে (৫৫*) নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক বিজয় (৭৩*)।