
জিয়াউরকে রান আউট করছেন টপলি। ছবি: ফেসবুক/সিলেট স্ট্রাইকার্স
জয়ের জন্য ৬ বলে দরকার ছিল ১৯ রান। আগের ওভারে মাহিদুল ইসলাম অংকন ও আবু হায়দার ১৫ রান নিয়ে ব্যবধানটা কমিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু শেষ ওভারে সমীকরণটা মেলাতে পারেননি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৮ রানে হেরেছে খুলনা টাইগার্স।
রুয়েল মিয়ার করা শেষ ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে হায়দারকে স্ট্রাইক দেন অংকন। হায়দারও প্রথম দুই বলে চার মেরে খুলনার জয়ের আশা আরও উজ্জ্বল করে তোলেন। কিন্তু পরের বলে দিয়ে বসেন ক্যাচ। ৬ বলে ১৪ রান করে ফেরেন হায়দার। পঞ্চম বলে রান আউট নন স্ট্রাইকে থাকা অংকনও। সেখানেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় খুলনার।
১৮৩ রানে লক্ষ্য তাড়ায় খুলনা ৯ উইকেটে করে ১৭৪ রান। এ নিয়ে
বিপিএলের সিলেট পর্বে টানা দুই ম্যাচে হারল তারা। আর সিলেট জিতল টানা দুই ম্যাচ। ৫
ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ছয়ে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে খুলনা।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে
নেমে ৫ উইকেটে ১৮২ রান করে সিলেট। শুরুতেই ২ উইকেট হারানোর চাপটা সামাল দেন রনি তালুকদার
ও জাকির হাসান। তৃতীয় উইকেটে দুজনে গড়েন ১০৬ রানে জুটি। ওপেনার রনি করেন ৫৬ রান। উইকেটরক্ষক
জাকির ৪৬ বলে ৩ চার ও ৬ ছয়ে খেলেন ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
এছাড়া অ্যারন জোন্স ৬ বলে ২০ ও অধিনায়ক আরিফুল হক ১৩ বলে
অপরাজিত ২০ রানের ক্যামিও উপহার দেন। খুলনার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার
ও জিয়াউর রহমান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় খুলনা। তবে ওপেনার উইলিয়াম বোরিস্টো (৪৩) দাঁড়িয়েছিলেন উইকেট। এরপর মিডল অর্ডারদের চেষ্টায় জয়ের আশা জাগিয়েছিল খুলনা। তার মধ্যে মোহাম্মদ নওয়াজ করেন ১৮ বলে ৩৩ ও অংকন করেন ১৬ বলে ২৮ রান। সিলেটের হয়ে সমান ২টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব, রুয়েল মিয়া ও রিস টপলি।