
ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন হায়দার। ছবি: ফেসবুক/বিপিএল
ভাগ্যিস সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলেছিল রংপুর রাইডার্স। নয়তো গ্রুপ পর্বের শেষ দিকে এসে যেভাবে দল হারছে, কঠিন সমীকরণের সামনেই পড়তে হতো নুরুল হাসান সোহানদের। এ নিয়ে হারের হ্যাটট্রিকও করে ফেলেছে রংপুর। আজ তারা ৫ উইকেটে হেরেছে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে।
টানা ৮ জয়ের পর টানা ৩ হারে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানও ছাড়তে হলো রংপুরকে। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে তারা। ১ ম্যাচ কম খেলা ফরচুন বরিশাল সমান পয়েন্ট নিয়ে ওঠে গেছে শীর্ষে।
প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের দরকার ছিল চিটাংগয়ের। সেটিই তারা করেছে দাপটের সঙ্গে। রংপুরের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে ১৪ বল হাতে রেখে। জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে চিটাগংয়ের দরকার ছিল ২০ রান। হাতে ৫ উইকেট। সহজ সমীকরণ আরও সহজভাবে মিলিয়ে দেন হায়দার আলী। স্বদেশি পেসার আকিফ জাবেদের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম চার বলেই ছয় মেরেছেন পাকিস্তানি ব্যাটার।
চিটাগং ৫ উইকেটে করে ১৪৮ রান। তার ৪৮ রান আসে হায়দারের ব্যাট থেকে। ১৮ বলে ১ চার ৬ ছয়ে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। তার আগে ৪৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। লক্ষ্য তাড়া করতে নামা চিটাগংকে শুরুতে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন আকিফ। ২৯ রানের মাথায় দুই টপ অর্ডারকে হারিয়ে ফেলেছিল তারা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও নিয়েছেন ২ উইকেট। এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনরা আশায় থাকল প্লে অফেরও।
এর আগে মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়া প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর। সেখান থেকে ৪৫ বলে অপরাজিত ৬৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ের স্কোর এনে দেন ইফতিখার আহমেদ। রংপুর ৫ উইকেটে করে ১৪৩ রান। তবে টি-টোয়েন্টিতে এই স্কোর যে মামুলি, সেটি বুঝতে বেশিক্ষণ লাগল না সোহানদের।
চট্টগ্রাম পর্বের পর ঢাকায় ফিরলেও ভাগ্য পাল্টাতে পারল না রংপুর। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে টানা দুই হারের পর এবার তারা হারল চিটাগংয়ের বিপক্ষেও।