
সতীর্থ তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট—বিপিএলের যেকোনো ভেন্যুতে ফরচুন বরিশালের দর্শক ছিল চোখে পড়ার মতোন। সেই দিক থেকে নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন দলটির ক্রিকেটাররা। টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক তামিম ইকবালও সেটা স্বীকার করলেন অকপটে।
ফাইনালের আগে
আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ভক্তদের কথা উঠতেই তামিম আবেগী হয়ে পড়েন। বরিশাল
ভক্তদের ভালোবাসা ছুঁয়ে গেছে তাকে। বরিশাল অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই বলছি, আমরা খুব ভাগ্যবান যে, এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলি। যাদের এত সমর্থন। সিলেট বা
ঢাকা,
যখন যেখানেই খেলি, গ্রুপ পর্ব হোক বা কোয়ালিফাইং,
বরিশালের দর্শক সবসময় ছিল।’
বিপিএলে নিজ দলের
ফ্যানবেইজ (সমর্থকগোষ্ঠী) গড়ার স্বপ্ন অনেক আগে থেকে দেখেছিলেন তামিম। বরিশালের জার্সি গায়ে জড়ানোর
পর সেই স্বপ্ন পূর্ণতা পেয়েছে। গত কয়েক সংস্করণে
সবচেয়ে ধারাবাহিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশাল। মাঠের লড়াই কিংবা
ব্যবস্থাপনা—সব মিলিয়ে আদর্শ দল হয়ে উঠেছে। গত মৌসুমে শিরোপা
উপহার দিয়ে ভক্তদের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। গড়ে উঠেছে নিজস্ব
ফ্যানবেইজ। তাই তো বিপিএলের ম্যাচ মানে সিংহভাগ দর্শক বরিশালের। গ্যালারিতে সব
প্রান্তে চোখে পড়ে লাল জার্সি, ওড়ে বরিশালের পতাকা।
এর জন্য নিজেদের সত্যিকারার্থে ভাগ্যবান মনে করেন দলটির অধিনায়ক।
তামিমের কথায়, ‘আমরা আসলে অনেক ভাগ্যবান। বিপিএল নিয়ে আমরা সবসময় এই স্বপ্নই দেখেছি,
একেকটা ফ্র্যাঞ্চাইজির একেক ধরনের ফ্যানবেইজ থাকবে। যা আমার
মনে হয়,
বরিশাল খুবই সফলভাবে করতে পেরেছে,
বিশেষ করে গত দুই বছরে।’
গত বছরের ফাইনালের পর শিরোপা নিয়ে লঞ্চে করে
বরিশাল যাওয়ার কথা ছিল বরিশালের ক্রিকেটারদের। শিরোপা জয়ের পর সে কথা রাখতে পারেননি তারা। কিন্তু এবার আর ভুল করতে চান না। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ফাইনাল জিতলেই ট্রফি নিয়ে বরিশাল যেতে চান তামিমরা।
শিরোপা লড়াইয়ে নামার
আগে অধিনায়ক দিয়ে রাখলেন সেই আশ্বাস। ভক্তদের সুখবর দিয়ে তামিম বলেছেন,
‘অবশ্যই তাদের (সমর্থক) জন্য আমাদের
পুরোপুরিভাবে চেষ্টা থাকবে কালকে যেন আমরা ভালো খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারি। আর যদি
হতে পারি ইনশাআল্লাহ্, পরিকল্পনা তো আছে (লঞ্চে করে ট্রফি নিয়ে বরিশাল যাওয়ার)। গতবারও এই পরিকল্পনা
ছিল। আমার মনে হয়, কোনো একটা কারণেই হয়তো যাওয়া হয়নি। এমন না যে আমাদের ইচ্ছা ছিল না। আমাদের
সবসময় ইচ্ছা ছিল। এবারও ইচ্ছা আছে। আল্লাহ যদি আমাদের ওপর রহমত করেন, তাহলে অবশ্যই (বরিশাল যাব)।'