টটেনহামের বিপক্ষে গোলের পর এক স্টাফের কাছ থেকে ফোন চেয়ে নেন মোহামেদ সালাহ। এরপর দর্শকদের সামনে গিয়ে একটি সেলফি নেন লিভারপুল তারকা, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল।

সেই সঙ্গে সেলফি উদযাপনটি পরিণত হয়েছে ফুটবলের আরেকটি আইকনিক মুহূর্তে। তবে প্রশ্ন উঠেছে—এটি কি সত্যিই আবেগঘন মুহূর্ত ছিল নাকি কোনো মার্কেটিং কৌশল?

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সালাহ নিজেই। লিভারপুল ফরোয়ার্ড বলেছেন, “মৌসুমের শুরু থেকেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে সেলফি তুলেছি। আর এবার ভেবেছিলাম বিশেষ কিছু করতে হবে। তাই করেছি। কেননা এই ছবিটা সবসময় থেকে যাবে।”

প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, সালাহ হয়তো গ্যালারির কোনো ভক্তের কাছ থেকে ফোন নিয়েছিলেন। পরে জানা যায়, এটি ছিল লিভারপুলেরই এক স্টাফের ফোন। আর ফোনটি ছিল ক্লাবের স্পন্সর গুগল পিক্সেলের তৈরি। তাই অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে জানান, এটি ছিল পরিকল্পিত মার্কেটিং। তবে এর বিপক্ষেও যুক্তি রয়েছে অনেকের।

আবার ম্যাচ শেষে সালাহ আরও সেলফি তুলেছিলেন, যেগুলো গুগল পিক্সেল তাদের অফিশিয়াল চ্যানেলে পোস্ট করেছে। এখানেই সন্দেহের দানা বেধেছে বেশি।

এছাড়া নিজেদের প্রচারণার জন্য এই মৌসুমেই বেশ কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে কাজ করেছে গুগল পিক্সেল। তাই তো সালাহর সেলফির আসল রহস্য নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন নেটিজেনরা।

তবে উদযাপনের সময় খেলা বিলম্বিত করায় রেফারি থমাস ব্র্যামল লিভারপুল তারকা সালাহকে কোনো কার্ড দেখাননি। তবে কোডি গাকপো গোল উদযাপনে জার্সি খুলে হলুদ কার্ড দেখেন।

এরই মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) এবং লিভারপুলের কাছে মন্তব্য চাওয়া হয়েছে। তবে নিয়ম অনুযায়ী, সরাসরি এমন উদযাপনের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।

ফুটবল ইতিহাসে এমন উদযাপন এই প্রথম নয়। ২০১৫ সালে রোমা কিংবদন্তি ফ্রানসেস্কো টট্টি লাৎসিওর বিপক্ষে গোল করার পর কোচের কাছ থেকে ফোন চেয়ে নিয়ে সেলফি তুলেছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে মারিও বালোতেল্লিও মার্শেইয়ের হয়ে গোল উদযাপনে সেলফি তুলেছিলেন।

সালাহর রহস্যময় সেলফি একান্তই আবেগের বশে তোলা নাকি এর পেছনে ব্যবসায়িক কোনো উদ্দেশ রয়েছে, সেই বিতর্ক বাদ যাক। আপাতদৃষ্টিতে এটি যে শুধু একটি উদযাপন নয়, বরং লিভারপুলের ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় ছবি, সেটা নিশ্চিত হয়েই বলে যায়।