‘বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা সহজ ব্যাপার নয়।’ একদিন আগেই কথাটা বলেছিলেন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। নতুন দায়িত্ব পাওয়া লিটন দাসের চাপকে কেন্দ্র করেই কথাটা বলেছিলেন কোচ। তবে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নয়া অধিনায়কের মুখে ভিন্ন সুর। নেতৃত্বকে চাপ হিসেবে দেখছেন না তিনি। বরং নতুন দায়িত্বকে কাজে লাগাতে চান ডানহাতি এই ব্যাটার।

দায়িত্ব পাওয়ার পর আজই প্রথমবার ক্যামেরার সামনে হাজির হন অধিনায়ক। নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে অনেক আশার কথা শুনিয়েছে। জানিয়েছেন, লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পাওয়ায় এবার দীর্ঘমেয়াদী ফল আনতেও আশাবাদী তিনি।

সেক্ষেত্রে চাপ নয় বরং নেতৃত্ব উপভোগ করতে চান লিটন, ‘‘এখানে চাপের কিছু নেই। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম না, তখনও পারফরম্যান্স খারাপ ছিল। এমন না যে এখনও খারাপ হবে। এটা (অধিনায়কত্ব) একটা প্লাস পয়েন্ট হতেই পারে। আমি বিশ্বাস করি, যারা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করে, তাতক্ষণিকভাবে ১-২ দিন ব্যর্থ হলেও ফলাফল আসে। আমি ওই জায়গায় আছি। আমি ইতিবাচকভাবে চিন্তা করছি যেন ফলাফলটা আমার দিকে নিয়ে আসতে পারি।’’

এর আগেও এই দায়িত্ব এসেছিল লিটনের কাঁধে। তবে সে সময় ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল তাকে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে পরিকল্পনা সাজানো হতো, তাতে আসতো না আশানুরূপ ফল। এবার নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে পারবেন বলে জানালেন অধিনায়ক, ‘‘লম্বা সময়ের জন্য সুযোগ পেলে অনেক কিছু চিন্তা করার সু্যোগ থাকে। এখন দেখার বিষয় হলো এই সময়ের মধ্যে আমি দলকে কতটা গুছিয়ে নিতে পারি। আমার জায়গা থেকে আমি অনেক আশাবাদী। লম্বা সময় এবং আমাদের যেসব খেলোয়াড় আছে তাদের নিয়ে আশা করি ভালো কিছু উপহার দিতে পারব।

‘‘তাছাড়া আগের যত প্ল্যানিং ছিল সেটা তাৎক্ষণিক সেই সিরিজের জন্য। যেহেতু এখন লং টাইমের জন্য সুযোগ এসেছে, আমার চিন্তাগুলো এখন ভবিষ্যতকেন্দ্রিক হবে। এখন আমি জানি আমার এতদিন পর্যন্ত একটা লক্ষ্য আছে।’’