Logo
×

Follow Us

ক্রিকেট

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি জাতীয় দলে অবদান রাখতে পারবে: আকবর

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২০, ০৮:৫৯

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলটি জাতীয় দলে অবদান রাখতে পারবে: আকবর

প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজের পতাকা পেয়েছে যুব ক্রিকেটে এক নম্বর দলের স্বীকৃতি। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে রচনা করেছে নতুন ইতিহাস।

শিরোপা জয়ের পেছনের গল্প, বর্তমান অবস্থা আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আকবর আলীর সঙ্গে কথা বলেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল

যে খেলোয়াড়টিকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা পেতে বেশ সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল, সেই আপনিই বিশ্বকাপজয়ী একমাত্র বাংলাদেশি অধিনায়ক। এখনো নিশ্চয়ই উত্তেজনা কাজ করছে?

আমরা যেটি করেছি সেটি সন্দেহাতীতভাবে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অর্জন হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে। বিশ্বকাপে খেলার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে ফাইনালে খেলার টার্গেট ছিল আমাদের। দেশের বাইরে যেহেতু খেলা ছিল তাই কমপক্ষে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ভালো ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য ছিল। সবকিছু ভালো মতো হওয়ায় শিরোপা জেতাটা সহজ ছিল। আর আমার দলে সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না। তবে একজন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হিসেবে এখনো দারুণ উত্তেজনা ভোগ করছি। সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

ফাইনাল ম্যাচে মাঠে থেকে দলকে জিতিয়ে আনাটা বেশ কঠিন ছিল আপনার জন্য। বিশেষ করে ওপেনার ইমনের ফেরাটাও বেশ সহায়ক ছিল? 

আমি আমার ওপর দায়িত্বটা পালন করেছি। এখানে অন্য কেউ থাকলে তিনিও করত বলেই আমার বিশ্বাস। বিশেষ করে মাসল ক্র্যাম্প করার পরও ওপেনার ইমন ব্যাটিংয়ে আসার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ৪৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতাতে ভূমিকা রেখেছেন ইমন। এটা দারুণ একটি অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য। এখন আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। বলতে পারেন সবই পরিকল্পনা মতো হয়েছে।

যেহেতু বিশ্বকাপ জেতা দল, তাই একটু আলাদা গুরুত্ব পাবে। আপনার কি আলাদা কোনো দাবি আছে। কীভাবে এই দলটার পরিচর্যা করা যায়?

মূল পরিকল্পানা করছে ক্রিকেট বোর্ড। তবে আমাদের কিছু দাবি দাওয়া থাকে সেগুলো আমরা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছি। আমরা যদি বিশ্বকাপ জিততে পারি, তাহলে একটা ব্যাপার নিশ্চিত, বড়রাও না পারার কারণ নেই। আমরা যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোই, তাহলে হতে পারে। অনূর্ধ্ব-১৯ দল বা বয়সভিত্তিক দলের সাথে সিনিয়র দলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে। বোর্ড আমাদের যে সহযোগিতা করবে তার সাহায্যে আমরা নিজেরা চেষ্টা করব সে ঘাটতিটা যত দ্রুত সম্ভব পূরণ করতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সহজ না। অবশ্যই আমাদের মানসিক ও শারীরিকভাবে যতটা সম্ভব নিজেদের প্রস্তুত করার চেষ্টা করতে হবে। ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের বার্তা দিয়েছে, দেখ তোমাদের পেশাদার ক্রিকেটের মাত্র শুরু তোমরা ভেলায় গা ভাসিয়ে দিও না। সবাই বলেছে, দেখ কীভাবে পরবর্তী লেভেলের জন্য প্রস্তুত হতে পার। কীভাবে আরো ভালো হতে পারো। এমন না যে যেটা আমরা পেয়েছি তাতেই আত্মতুষ্টিতে ভুগব। আমার মনে হয়, সবাই এটাকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছে। যা আমাদের কাজে দিয়েছে।

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই বিশ্বকাপ জয়কে অনেকেই দেখছেন ভবিষ্যতের জন্য প্রেরণা হিসেবে। ক্রিকেটকে পরের ধাপে নেওয়ার ব্যাপারে কতটা অবদান রাখতে পারে এই দলটি?

এই বিষয়টি এত দ্রুত বলার কোনো সুযোগ নেই। আসলে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ভাইরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে পরের ধাপে নিয়ে গেছেন। ওনারা যে কাজটা করে যাচ্ছেন, আমার মনে হয় এই জয় তাতে একটা অবদান রাখতে পেরেছে। তারা যে জায়গায় দেশের ক্রিকেটকে রেখেছেন আমরা সেখান থেকে আর একটু এগিয়ে নিতে পারছি। পাশাপাশি এই টুর্নামেন্ট আমাদের জন্য অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা ছিল। তবে আমাদের জার্নিটা শুধু এই এক মাসের ছিল না। গত দেড় বছর ধরে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। এখানে বোর্ডের অসাধারণ একটা ভূমিকা ছিল। তারা এই দেড় বছরে আমাদের ৩০টির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা এই সময়ে দেশের বাইরে অনেক সিরিজ খেলেছি। দলে খুব একটা বদল হয়নি এই সময়ে। আর এই সবকিছুর সুফল পেয়েছি আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে, যা দেশের ক্রিকেটকে ভবিষ্যতের পথ দেখাবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫