জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টাইগারদের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো নিশ্চিত না করলেও সিরিজটি পাকিস্তানেই আয়োজন করতে চায় পিসিবি। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট খেলার জন্য কতটা নিরাপদ, তা ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-২০ খেলার কথা বাংলাদেশের।

এদিকে, কয়েকদিন আগেই পাকিস্তান সফর করে এসেছে বাংলাদেশ নারী ও একটি বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দল। কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সফর সম্পন্ন করে দেশেও ফিরেছেন ক্রিকেটাররা।

শ্রীলঙ্কা দলের ওপর হামলার ঘটনার এক দশক পার হলেও ক্রিকেট খেলার আদর্শ পরিবেশ এখনো গড়ে ওঠেনি পাকিস্তানে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার মত শীর্ষ দলগুলোর গেলো দশকে পাকিস্তান সফর না করার ইতিহাস দেয় সেই বার্তাই।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে গুরুত্ব দিতে হবে। ঝুঁকি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় আছে কিনা। বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী পাকিস্তানে ঝুঁকির মাত্রা বেশী। ঝুঁকির সাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থার সামঞ্জস্য না হলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে।

নিরাপত্তার পাশাপাশি বিসিবির সাবেক পরিচালকরা, ক্রিকেট কূটনীতির বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে ক্রিকেটাররা জাতীয় সম্পদ, তাই ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে বিসিবিকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের আহমেদ বলেন, আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। এখনো একটি আন্দোলন এখানে চলছে। ইমরান খানকে সরানোর আন্দোলন। সেই আন্দোলনের মাঝপথে আমাদের খেলোয়াড়রা পড়ে যায়। তাহলে যেকোনো সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আইসিসিতে ক্রিকেট কূটনীতি একটি বিষয়, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থানটা শক্তিশালী করতে গেলে কোনো না কোনো পক্ষে আপনাকে যেতে হবে। এখন যারা বোর্ডে রয়েছেন, তারা সেগুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।