
মাত্র ১৩ ওভারেই খুলনা টাইগার্সের কাছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেলো রংপুর রেঞ্জার্স। একের পর এক ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১৩৭ রানের পূঁজি নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর। শেষমেশ বোলারদের দিতে তাকিয়ে থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি রংপুরের। মাত্র ১৩ ওভারের মধ্যেই (১২.৩ ওভার) জয় তুলে নেয় মুশফিকুর রহিমের দল।
খুলনা ১৩৮ রানের লক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত মাত্র ১ রানে সাজঘরের পথ ধরলেও তাতে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর রাইলি রুশো। ২২ বলে ১ চার আর ৪ ছক্কায় ৩৭ রান করার গুরবাজকে মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচ বানিয়ে জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মুকিদুল ইসলাম। তবে পরের সময়টায় আর কোনো বিপদে পড়েনি খুলনা।
মুশফিকুর রহীমকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রুশো। ৩১ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৬৭ রানে। মুশফিক করেন ১৭ বলে হার না মানা ১৭ রান। এর আগে মোহাম্মদ নাইম শেখ আর ফজলে মাহমুদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও ৯ উইকেটে ১৩৭ রানের বেশি এগুতে পারেনি রংপুর রেঞ্জার্স।
খুলনার বোলারদের তোপে শুরু থেকেই স্বস্তিতে ছিল না টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর। বিধ্বংসী চেহারায় দাঁড়িয়ে যাওয়ার আগেই মোহাম্মদ শাহজাদকে (৭ বলে ১১) সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন মোহাম্মদ আমির।
এরপর টানা দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন শফিউল ইসলাম। ক্যামেরুন ডেলপোর্ট (৪) আর নাদিফ চৌধুরী (০) হন ডানহাতি এই পেসারের শিকার। ১২তম ওভারে এসে রানআউটের শিকার হন ঝড়ো গতিতে এগিয়ে যাওয়া নাইম। ৩২ বলে তার ৪৯ রানের ইনিংসটি ছিল ৫ চার আর ২ ছক্কায় সাজানো।
মোহাম্মদ নবীও ৪ রানের বেশি এগোতে পারেননি। আমিরের হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন আফগান এই অলরাউন্ডার। ফজলে মাহমুদ অবশ্য তারপরও চালিয়ে খেলছিলেন। ৩৩ বলে ২টি করে চার ছক্কায় ৪২ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান শফিউল।
এরপর আর ৫ রান যোগ করতে ৩ উইকেট হারিয়েছে রংপুর, এই তিন উইকেটই পড়েছে শেষ ওভারে। শেষ ওভারের শেষ বলে ২০ বলে ২২ রান করে আউট হন লুইস গ্রেগরি।
খুলনার বোলারদের মধ্যে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন শফিউল ইসলাম। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় তিনি নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার শহিদুল ইসলাম আর মোহাম্মদ আমিরের।