
অনেকটাই যেনো তীরে এসে তরী ডুবালো খুলনা টাইগার্স। শেষ ১২ বলে দরকার ছিল ৩৬ রান। কিন্তু ঢাকা প্লাটুনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে হার মানতে বাধ্য হয়েছে খুলনা।
এদিকে, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সিলেটে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনাকে ১৩ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে উঠে এলো ঢাকা প্লাটুন।
এবারের বিপিএলে খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ধারাবাহিকভাবে রান করে যাচ্ছেন। আজও একাই লড়ছেন। ৩৩ বলে করেন ৬৪ রান। এর আগে ঢাকার দেওয়া ১৭৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতে হোঁচট খান খুলনার দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও আমিনুল ইসলাম। দলীয় ১১ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আমিনুল ইসলাম। ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফির বলে ৬ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপরই ১৫ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্লাটুনের তরুণ উদীয়মান বোলার হাসান মাহমুদের বলে সরাসরি বোল্ড হন।
এদিকে গত কয়েক ম্যাচ ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো বিপিএলে রান পাচ্ছেন না। ঢাকার পেসার হাসান মাহমুদের বলে ১৩ বলে ১৮ রান করে আউট হন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। অন্যদিকে রান পাননি শামসুর রহমানও।
আফগান ব্যাটসম্যান নাজিবুল্লাহ জাদরান করেন ২৯ বলে ৩১ রান। আসিফ আলীর অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট হন তিনি। শেষ দিকে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮ উইকেটে ১৬০ রান করে খুলনা টাইগার্স।
আজ বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হতে খানিক দেরি হয়। দুপুরে টস জিতে খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ঢাকা প্লাটুনকে। ব্যাট করতে নেমে ঢাকার ধীর ব্যাটিংয়ে দেড়শ রানের আগেই আটকে যাবার উপক্রম। সেখানে শেষ দিকে আসিফ আলীর ১৩ বলে ৩৯ রানের তাণ্ডবে ম্যাচে ফিরে ঢাকা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ রান তোলে ঢাকা। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ আমীর।