
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ। ছবি: সংগৃহীত
আফগানিস্তানের
বিরুদ্ধে ক্যারিয়ারের শততম
টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি ম্যাচটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি। মুশফিকের ৩০ রানই বাংলদেশের
ইনিংসের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। মাহমুদউল্লাহ ছাড়া কেউ বিশের
ঘর ছুঁতে পারেননি। এমন ব্যাটিং ব্যর্থতায়
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ শনিবার (৫ মার্চ) ৯ উইকেটে ১১৫
রান তুলতে পেরেছে।
আফগানিস্তানের
বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং
বেছে নেয় বাংলাদেশ। ব্যাট
হাতে ইনিংস শুরু করেন মুনিম
শাহরিয়ার এবং নাঈম শেখ।
কিন্তু ওপেনিং জুটি দীর্ঘ হয়নি।
মোহাম্মদ নবির করা ইনিংসের
দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন
মুনিম। এক বল পরেই
দলীয় ৭ রানে ক্যাচ
দিয়ে বিদায় হন ১০ বলে
৪ রান করে।
নাঈমের
সঙ্গী হন লিটন দাস।
তৃতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকীকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার
লেগ দিয়ে দর্শনীয় পুল
শটে ৬৯ মিটারের ছক্কা
মেরে তিনি হাত খোলেন।
দারুণ ফর্মে থাকা লিটন আজ
বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আজমতউল্লাহর করা পঞ্চম ওভারের
প্রথম বলে ভুল টাইমিংয়ে
তিনি ধরা পড়েন শরাফউদ্দিন
আশরাফের হাতে। শেষ হয় ১০
বলে ১ ছক্কায় ১৩
রানের ইনিংস। ২২ রানে দ্বিতীয়
উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন
সাকিব।
রশিদ
খানের করা সপ্তম ওভারের
শেষ বলে নাঈমের বিরুদ্ধে
লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।
তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান
নাঈম। তবে এক ওভার
পরেই সেই রশিদ খানের
বলে দ্রুত রান নিতে গিয়ে
করিম জানাতের সরাসরি থ্রোতে রান-আউট হয়ে
শেষ হয় তার ১৯
বলে ২ চারে ১৩
রানের ইনিংস।
বিশ্বসেরা
অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানও এ
ম্যাচে নিজের রূপে ফিরতে পারেননি। আজমতুল্লাহর বলে উইকেটের
পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার সংগ্রহ
১৫ বলে ৯ রান।
কোনো বাউন্ডারি নেই। এরপর মুশফিক
আর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে এগোতে থাকে বাংলাদেশের স্কোর।
দুজনের জুটি জমে উঠেছিল।
৩১ বলে ৪৩ রানের
পঞ্চম উইকেট জুটির অবসান হয় মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে।
রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে
ফিরেন ১৪ বলে ৩
চারে ২১ রান করা
বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অন্যদিকে
দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট করছিলেন
মুশফিক। ফারুকীর করা ১৭তম ওভারের
প্রথম বলে মোহাম্মদ নবির
তালুবন্দি হয়ে শেষ হয়
তার ২৫ বলে ৪
চারে ৩০ রানের ইনিংস।
৯৯ রানে ৬ উইকেট
হারানোর পর ওই ওভারেই
তিন অংক ছাড়ায় বাংলাদেশের
স্কোর। তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে
গোল্ডেন ডাক মারেন মেহেদি।
১৮তম
ওভারের তৃতীয় বলে আজমতউল্লাহকে অযথা
স্কুপ খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন
আফিফ (৭)। ফারুকির
তৃতীয় শিকার শরীফুল ইসলাম (০)। শেষ
উইকেট জুটিতে মুস্তাফিজ-নাসুম আরও ১০ রান
যোগ করলে ২০ ওভারে
৯ উইকেটে ১১৫ রান তোলে
বাংলাদেশ। মাত্র ১৮ রানে ৩
উইকেট নেন ফারুকি। ২২
রানে ৩টি নিয়েছেন আজমতুল্লাহ।