আইপিএলের চলতি আসরে গতকাল শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে মাঠে নামে দিল্লি ক্যাপিটালস। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সব ম্যাচের মধ্যে এ ম্যাচের শেষ ওভারে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

রাজস্থানের দেওয়া ২২২ রানের তাড়া করতে মাঠে নামে দিল্লি। ম্যাচের শেষ ওভারে যেন চূড়ান্ত নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। শেষ ওভারে বল করতে আসেন ওবেড ম্যাকয়। ওভারের তৃতীয় বলটি ফুলটস করেন তিনি। ওই বলের উচ্চতা ছিল কিছুটা বেশি। মাঠের আম্পায়াররা নো বল ডাকেননি। তাতেই ক্ষোভে ফুসে উঠে দিল্লি শিবির।

জয় নিশ্চিত করতে শেষ ওভারে দিল্লির দরকার ছিল ৩৬ রান। প্রথম তিন বলে পর পর তিনটি ছয় মেরে রভম্যান পাওয়েল জমিয়ে দিয়েছেন খেলা। তৃতীয় বল কোমড়ের উচ্চতার কাছাকাছি ফুলটস ছিল। মাঠের আম্পায়াররা নো বল না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দিল্লি শিবির। ডাগ আউট থেকে সমানে ডেভিড ওয়ার্নার, ঋষভ পন্থরা নো বলের ইঙ্গিত করতে থাকেন। তৃতীয় আম্পায়ারের আবেদন জানান তারা। 

কিন্তু সেই আবেদনে মাঠের আম্পায়াররা সাড়া দেননি। তাতেই দিল্লি শিবির ক্ষোভে ফেটে পড়ে। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল পাওয়েলের ব্যাটে লাগার সময় তার উচ্চতা ছিল কোমড়ের সামান্য উঁচুতে।

তা দেখেই পাওয়েল এবং কুলদীপ যাদবকে মাঠ থেকে বেড়িয়ে আসার নির্দেশ দেন দিল্লি অধিনায়ক ঋষভ। দুই ব্যাটার মাঠের বাইরে চলে যেতে চাইলে তাদের আটকান মাঠের আম্পায়াররা। ঋষভ সমানে মাঠের বাইরে থেকে দুই ব্যাটারকে চলে আসার নির্দেশ দিতে থাকেন। এসময় হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে দিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন দিল্লির অন্যতম সাপোর্ট স্টাফ প্রবীণ আমরে। তিনি গিয়ে আম্পায়ারদের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে এই নাটকে মনঃসংযোগ ব্যাহত হয় পাওয়েলের। আর ছয় মারতে পারেননি তিনি। ঋষভের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের জন্যই ম্যাচ হারল দিল্লি। পরপর তিন ছয় খেয়ে চাপে পড়ে যাওয়া রাজস্থানের বোলার ম্যাকয় তখন নিজেকে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন। অন্যদিকে, পাওয়েলও ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। ম্যাচ হেরে যায় দিল্লি।

ম্যাচের পর ঋষভ বলেন, ‘ম্যাচের শেষ ওভারে পাওয়েল আমাদের একটা সুযোগ দিয়েছিল। নো বল হলে সেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান হত। আমার মনে হয়েছিল বলটা আর একবার, দেখা উচিত। কিন্তু সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এটা অত্যন্ত হতাশার। আমাদের মনে হয় ওই বলটি নিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত ছিল। কারণ ওটা নো বলই ছিল।’