বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের সাথে সাথে মুমিনুল হকের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছে। অনেকটাই যেন নেতৃত্বের চাপে ভেঙে পড়েছেন দেশের সেরা এ টেস্ট ব্যাটার। সর্বশেষ তার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ভরাডুবি হয়েছে বাংলাদেশের।

তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন আভাস দেন, পরিবর্তন আসছে। জানান, খুব দ্রুতই মুমিনুলের সাথে বসবেন সিদ্ধান্ত জানতে।

এদিকে গুঞ্জন আছে, সাকিব আল হাসানের সম্মতি রয়েছে টেস্ট দলের নেতৃত্বে ফিরতে। এখন শুধু দুইয়ে দুইয়ে চার মেলার অপেক্ষা। মুমিনুল যদি বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে নেতৃত্ব দেবেন তবে সেটা হবে তার জন্য এসিড টেস্ট। নেতা সাকিবের অধীনে বাংলাদেশ ১৪টি টেস্ট খেলে তিনটি জয় পেয়েছিল, হেরেছিল ১১টি ম্যাচে।

এর আগে ২০১৯ সালে ফিক্সিং বিতর্কে জড়িয়ে নেতৃত্ব হারান সাকিব। দেশসেরা এই অলরাউন্ডার নিষিদ্ধ হন এক বছরের জন্য। ওই সময়ে হুট করেই নেতৃত্বের ভার চাপিয়ে দেওয়া হয় মুমিনুলের কাঁধে। এরপর মুমিনুলের নেতৃত্বে ১৬টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে মাত্র তিনটি ম্যাচে জয় পায় টাইগাররা। বিপরীতে দুটি ড্র আর ১২টি হার দেখে বাংলাদেশ।

একদিকে দলের বাজে পারফরম্যান্স, সাথে মুমিনুলের ব্যাটে রান খরা। পরিসংখ্যান বলছে, অধিনায়ক হওয়ার আগে মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ছিল ৬৭ ইনিংসে ৪১.৪৮। অধিনায়ক হওয়ার পর সেটি ৩১ ইনিংসে ২৯.৪২ গড়ে গিয়ে ঠেকেছে। তার ৫৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে মোট রান তিন হাজার ৫২৫। অধিনায়ক হওয়ার পর রান করেছেন ৯১২। মোট ১১টি সেঞ্চুরিতে অধিনায়ক হওয়ার পর পেয়েছেন মাত্র তিনটি। এই সময়ে ডাক মেরেছেন ছয়বার। শেষ সাত ইনিংসে দুই অঙ্কের রানের ঘরই পার হতে পারেননি। এই সময়ে তার ব্যাটে আসে সর্বোচ্চ ৯ রান।

অনেকটা হুট করে পাওয়া নেতৃত্ব ছাড়বেন, নাকি থেকে যাবেন এই সিদ্ধান্তটা মুমিনুলকেই নিতে হবে। বলা হচ্ছে, আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই সাকিবের নেতৃত্বে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। যদিও বিসিবির ঘোষিত টেস্ট দলের নেতা এখনো মুমিনুল।