প্রতীকী ছবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শুরু হয়ে গেছে। তবে সেরা দলগুলোর অংশগ্রহণে মূলপর্ব শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে। শিরোপার লড়াই শুরুর আগে জেনে নেওয়া যাক এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাঙতে পারে যে রেকর্ডগুলো-
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনের দখলে। ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান করেছেন তিনি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছেন ক্যারিবীয় দানব ক্রিস গেইল (৯৬৫ রান) ও শ্রীলঙ্কার সাবেক ওপেনার তিলকরত্নে দিলশান (৮৯৭ রান)। এদের কেউই এবারের বিশ্বকাপে নেই। এবারের আসরে জয়াবর্ধনের এই রেকর্ডটি ভেঙে যেতে পারে। ভেঙে দিতে পারেন ভারতের রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা।
কারণ এবারের আসরে যারা খেলছেন, তাদের মধ্যে দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে এই দুজনই। ৩৩ ম্যাচে ৮৪৭ রান করেছেন রোহিত। ২১ ম্যাচে কোহলির সংগ্রহ ৮৪৫ রান। এ ছাড়া ৩০ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার করেছেন ৭৬২ রান। তারও সুযোগ রয়েছে জয়াবর্ধনকে টপকে যাওয়ার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একাধিক সেঞ্চুরির মালিক একমাত্র ক্রিস গেইল। তিনি দুটি সেঞ্চুরি করেছেন। তার এই রেকর্ডটি ভেঙে দিতে বা ভাগ বসাতে পারেন কেউ একজন। সেই একজন হতে পারেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। ক্রিস গেইল ছাড়াও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ ব্যাটসম্যান একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন। সেই ৭ জনের মধ্যে একমাত্র জস বাটলার এবারের আসরে খেলছেন।
ফলে গেইলের রেকর্ডটি ভাঙা বা ভাগ বসানোর সুযোগ তার সামনেই সবচেয়ে বেশি। তবে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগে সেঞ্চুরি না পেলেও রোহিত শর্মা, কোহলি, ওয়ার্নার, বাবর আজমদের সামর্থ্য আছে রেকর্ডটিতে ভাগ বসানোর বা ভেঙে দেওয়ার।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ডটি নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দখলে। ২০১২ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি খেলেছিলেন ১২৩ রানের ইনিংস। তার এই রেকর্ডটিও ভেঙে দিতে পারেন রোহিত, বাবর, ওয়ার্নার, বাটলার বা অন্য কেউ। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির মালিক বিরাট কোহলি। ২১ ম্যাচে তিনি ১০টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। কোহলি নিজে যেমন সংখ্যাটা বাড়িয়ে নিতে পারেন, তেমনই অন্য কেউ টপকে যেতে পারেন তাকে। সেই সম্ভাবনায় সবচেয়ে এগিয়ে তারই সতীর্র্থ রোহিত শর্মা। বিশ্বকাপে যিনি ৮টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। ওয়ার্নার করেছেন ৬টি হাফসেঞ্চুরি।
এক আসরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটিও কোহলির। ২০১৪ সালে ৬ ম্যাচ খেলে ৩১৯ রান করেছিলেন তিনি। কোহলির সামনে সুযোগ আছে রেকর্ডটি নতুন করে লেখার। পাশাপাশি অন্যদেরও সুযোগ আছে কোহলির রেকর্ডটি ভেঙে দেওয়ার।
টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ডটি সাকিব আল হাসানের। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত ৪১টি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিব ছাড়া এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা আর কোনো বোলার এবারের আসরে নেই। যারা খেলছেন, তাদের মধ্যে একমাত্র ভারতের অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন কাছাকাছি আছেন। তিনি নিয়েছেন ২৬ উইকেট। মানে সাকিবের চেয়ে ১৭ উইকেট পেছনে তিনি। কাজেই সাকিবের এই রেকর্ডটি অশ্বিনের পক্ষে ভেঙে দেওয়া কঠিন। অন্যদের জন্য আরও কঠিন। তবে সাকিব নিজেই নিজের রেকর্ডটি ভেঙে লিখতে পারেন নতুন করে।
টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেশিবার ইনিংসে চারটি বা তার বেশি উইকেট নেওয়া বোলারের সংখ্যা ৭। এর মধ্যে সাইদ আজমল ও সাকিব তিনবার করে ইনিংসে চার বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। এবার সাকিবের সামনে সুযোগ আছে আজমলকে সরিয়ে রেকর্ডটি একার করে নেওয়ার। আজমল-সাকিবের রেকর্ডটি ভেঙে দিতে পারেন বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানও। তিনি দুই বার ইনিংসে চার বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন।
এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। শ্রীলঙ্কার স্পিনার ২০২১ সালে ৮ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট। তার এই রেকর্ডটিও ভেঙে যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ায়। এ ছাড়া আরও বেশ কিছু রেকর্ড হুমকির মুখে।