
ব্যাট হাতে ভারতীয় ক্রিকেটার পূজারা। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদশকে ফলো অনে না পাঠিয়ে ফের ব্যাট করে ২ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। সব মিলিয়ে লিড ৫১২ রানের। জিততে হলে বাংলাদেশে সামনে ৫১৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রান করে ভারত। জবাব দিতে নেমে ১৫০ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এদিন ২৫৪ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ভারত।
তবে তৃতীয় দিন লাঞ্চের আগে কোনো উইকেট হারায়নি সফরকারীরা। বিরতি থেকে ফিরে অবশ্য বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি লোকেশ রাহুল। ভারতীয় অধিনায়ক খালেদ আহমেদের বলে পুল করতে যান, ফাইন লেগে দারুণ ক্যাচ ধরেন তাইজুল ইসলাম। ৬২ বলে ২৩ রান করেন রাহুল, ভাঙে ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এরপর থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন শুভমন গিল ও চেতেশ্বর পূজারা। তাদের দুজনের জুটিতে আসে ১১৩ রান। মাঝে বল করেন ইয়াসির আলি রাব্বি, লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তও। ১৫২ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১৫২ বলে ১১০ রান করে আউট হন গিল। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান গিল।
সেঞ্চুরি তুলে নেন পূজারাও। এই ব্যাটার ১৩০ বল খেলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২৯ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কোহলিও।
এর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ৭৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ ও এবাদত হোসেন ১৩ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেন।
সকালে মিনিট বিশেক কাটিয়ে দেন এই দুই ব্যাটার। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে ১৭ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে আউট হয়ে গেছেন এবাদত হোসেন। টার্ন করা বলে ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হন এই ব্যাটার। ফাইফার পূর্ণ হয় যাদবের।
এরপর খালেদ লড়ছিলেন ভালোই। তিনি টিকে ছিলেন ১৪ বল, যদিও কোনো রান করতে পারেননি। কিন্তু অন্যদিকে আউট হয়ে যান মিরাজই। ২ চার ও ১ ছক্কায় ৮২ বলে ২৫ রান করার পর অক্ষর প্যাটেলের বলে স্টাম্পিং হন তিনি।
ভারতের পক্ষে ১৩ ওভারে ২ মেডেনসহ ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। ১৬ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৫ উইকেট পান কুলদ্বীপ যাদব। অক্ষর প্যাটেল ও উমেশ যাদব পান এক উইকেট করে।