ছবি- সংগৃহীত
বোলিংয়ে চাপে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান নিয়ন্ত্রণে রাখার দিকে নজর দেওয়ার দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে ফিল্ডাররা যেন সেটিকে গুরুত্বই দিলেন না!
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন হতে পারতো বাংলাদেশের। কিন্তু ফিল্ডিং দুর্বলতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ আরেকটি সেশন নিজেদের করে নিয়েছে। ৩১ ওভারের লম্বা সেশনে ক্যারিবিয়ানরা ৬৪ রান তুলেছেন ২.০৬ গড়ে। একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন সাকিব।
তবে উইকেট নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল আরো দুটি। পেসার ইবাদতের বল খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন এনক্রোমার বোনার। কিন্তু বোলার, ফিল্ডার কেউ টেরই পাননি। আবেদন তো দূরের কথা! এরপর ডানহাতি পেসারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শান্ত। দুবার জীবন পাওয়া এ ব্যাটসম্যানকে শেষমেশ সাকিবই বোল্ড করে সাজঘরের পথ দেখান।
সাত সকালে মোস্তাফিজ ও ইবাদতের বোলিং ছিল দুর্দান্ত। টানা ৪ ওভার মেডেন নেন দুজন। ব্যাটসম্যানদের কোনো সুযোগই দেননি তারা। মোস্তাফিজের সকালের স্পেল অবশ্য খুব বেশি লম্বা হয়নি। ২ ওভার করেছেন। বাকি দুজন টানা বোলিং করেছেন। কখনো বিরতি পেয়েছেন। এরপর আবার বোলিংয়ে ফিরেছেন।
সকালের সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক তুলে নেন ফিফটি। তার মন্থরতম ফিফটি এসেছে ১৭৪ বলে। ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। এছাড়া জার্মেইন ব্ল্যাকউডের ব্যাট থেকে এসেছে ৯ রান।
বোলাররা সুযোগ তৈরি করছেন। ফিল্ডারদের একের পর এক সুযোগ হাতছাড়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফলে দিনশেষে বাংলাদেশের ১০৩ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ১৫৯। লিড ৫৬ রানের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের রান কোথায় গিয়ে থামে সেটাই দেখার।