টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ১১৭ রানে থামালো বাংলাদেশের বোলাররা। আর এই ম্যাচ জিতলেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ইতিহাস সৃষ্টি হতে পারে।
এদিন টস জিতে আগে বোলিং করতে নামে বাংলাদেশ। জেসন রয়ের বদলে ডেভিড মালানকে নিয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন ফিল সল্ট। তবে বেশিদূর এগুতে দেননি তাসকিন আহমেদ।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৮ বলে ৫ রান করা মালানকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানিয়েছেন তাসকিন। এরপর তিনে নামা মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে এগুচ্ছিলেন সল্ট। সাকিব আল হাসান ভেঙেছেন এই জুটি। সপ্তম ওভারে প্রথম আক্রমণে এসে সল্টকে ক্যাচ এবং বোল্ড করেছেন সাকিব। ফেরার আগে ইংলিশ ওপেনার ১৯ কলে ২৫ রান করেন।
খানিক বাদে পরপর আরও দুই উইকেট পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৫৫ রানের মাথায় অসাধারণ এক স্লোয়ার ইয়র্কারে জস বাটলারকে (৪) বোল্ড করেছেন হাসান মাহমুদ। দলীয় খাতায় আর ২ রান যোগ হতেই মঈন আলীকেও ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। ৫৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। ইনিংসের তখন নবম ওভারের খেলা চলছিল।
এরপর স্যাম কারানকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন বেন ডাকেট। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রান যোগ করেন দুজন। এটাই ইংল্যান্ডের ইনিংসের সেরা জুটি। তবে দলীয় ৯১ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙলে ইংলিশদের অর দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ।
মেহেদি হাসান মিরাজ মাঝের ওভারগুলোতে অসাধারণ বোলিং করেছেন। শামীম পাটোয়ারীকে আজ মিরাজকে একাদশে নিয়েছে বাংলাদেশ। নির্বাচনটা যে ভুল ছিল না তরুণ অলরাউন্ডার প্রমাণ করেছেন দুর্দান্তভাবে। চার ওভারে ১২ রানে নিয়েছেন চার উইকেট। মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়েই ইনিংসের মাঝে এবং শেষের দিকে সুবিধা করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ফলে ২০ ওভারে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১১৭ (সল্ট ২৫, মালান ৫, মইন ১৫, বাটলার ৪, ডাকেট ২৮, কারান ১২, ওকস ০, জর্ডান ৩, রেহান ১১, রশিদ ১*, আর্চার ০; তাসকিন ৪-০-২৭-১, মুস্তাফিজ ৪-০-১৯-১, নাসুম ১-০-১৩-০, সাকিব ৩-০-১৩-১, হাসান ২-০-১০-১, মিরাজ ৪-০-১২-৪, শান্ত ১-০-৯-০, আফিফ ১-০-৭-০)।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh