
ভারত-পাকিস্তানের অধিনায়ক। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের ঝকঝকে আকাশের নিচে প্রথমবার ভারত আর পাকিস্তান মুখোমুখি হতে চলেছে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ বলে কথা। আমেরিকানরা ক্রিকেট খুব একটা বোঝে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ শহরে ভারত আর পাকিস্তানের নাগরিকরা রয়েছে শত বছর ধরে। নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা ৯ জুন।
উৎসবের আমেজ চলে এসেছে। এত দিন তারা টেলিভিশনে ভারত আর পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় লড়াই দেখেছে। এখন দেখবে চোখের সামনে। তবে সবার ভাগ্যে টিকিট জোটেনি। ৩৪ হাজার টিকিট চোখের পলকে শেষ হয়ে গেছে। তবু অনেকে যাবে স্টেডিয়ামে। বাইরে হয়তো বড় স্ক্রিনে খেলা দেখার ব্যবস্থা থাকতে পারে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারত ও পাকিস্তান ১২টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তিনটি ম্যাচ ছিল দুবাইয়ে। আর দুটি ম্যাচ হয়েছে মিরপুরে। এ ছাড়া বাকি সাতটি ম্যাচ মেলবোর্ন, ইডেন গার্ডেন্স, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, কলম্বো, জোহানেসবার্গ আর ডারবানে অনুষ্ঠিত হয়। ক্যারিবিয়াতেও কখনো দুই দলের ম্যাচ হয়নি। আমেরিকানরা এবার দেখবে দেশভাগ হওয়ার আবেগ নিয়ে কীভাবে ভারত আর পাকিস্তানের মানুষ খেলাটি উপভোগ করে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান একমাত্র জয়টি পায় ২০২১ সালে দুবাইয়ের মাঠে। অবিশ্বাস্যভাবে পাকিস্তান ম্যাচটি জেতে ১০ উইকেটে। ১৫২ রানের টার্গেট ১৭.৫ ওভারে ছুঁয়ে ফেলেন বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান। ভারত আর পাকিস্তান ম্যাচ এমন একতরফা সাধারণত হয় না। সর্বশেষ ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। মেলবোর্নে মুখোমুখি হয় দুই দল। এই ম্যাচটি জমেছিল। শেষ বলে ভারত জয় নিশ্চিত করে।
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভালো বোলিং আক্রমণ নিয়ে এসেছে। মোহাম্মদ আমির পেস বোলিং ইউনিটে রয়েছে। শাহিন শাহর পাশাপাশি তিনি ভয়ংকর। ভারত ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামবে। আইপিএল খেলে এসেছে দলটি। বিরাট কোহলিসহ সবাই ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন। যেহেতু উইকেট হার্ড হবে। ড্রপইন উইকেটে রান তোলার ব্যাপার রয়েছে। এখানে ভারত বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচও খেলে ফেলেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১৮২ রান তোলে তারা। কোহলি ছিলেন না প্রস্তুতি ম্যাচে। পাকিস্তান আবার ইংল্যান্ডে প্রস্তুতি নিয়েছে। সব মিলিয়ে একই আবহের দুটি ক্রিকেট দল পুরোপুরি নতুন পরিবেশে আরেক দফা সেরা হওয়ার লড়াইয়ে নামবে।