
নিউজিল্যান্ডের নারী আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়। ছবি: সংগৃহীত
কপালপোড়া দক্ষিণ আফ্রিকা। জুনে প্রোটিয়া ছেলেরা আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরেছিল ভারতের কাছে। চার মাসের ব্যবধানে একই দেশের মেয়েরা ফাইনালে হেরেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। ২০২৩ সালের ফাইনালেও প্রোটিয়া নারীরা হারের মুখ দেখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
নিউজিল্যান্ডের নারীরা ২০০০ সালে নিজেদের মাটিতে লিখেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের রূপকথা। ২০০৯ আর ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালেও খেলেছিল দলটি। কিন্তু নাগাল পায়নি শিরোপার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ফাইনালে খেলেছিলেন সুফি ডিভাইন আর সুজি বেটস। দুজনই কিউইদের হয়ে টানা ৯টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। সুফি তো বিশ্বকাপ জয়ে দলকে নেতৃত্বই দিয়েছেন। আর সুজি দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০ রান করে বিশ্বকাপ জয়ে রেখেছেন অনন্য অবদান।
২০২৪ সালের আইসিসি নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয় ১০টি দেশ। সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে। আর নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাজয় স্বীকার করে ভারতের মেয়েরা। টুর্নামেন্টে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
বিশ্বকাপ জয়ের পথে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হয়েছিল ভারতকে ৫৮ রানে হারিয়ে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে হট-ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া তাদের হারায় ৬০ রানের শোচনীয় ব্যবধানে। পরে আর কোনো হোঁচট নয়। শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানকে হারিয়ে কিউইরা উঠে আসে সেমিতে। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ১৫ উইকেট নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের অ্যামিলা কার। তিনি টুর্নামেন্টের সেরাও হয়েছেন। সর্বোচ্চ ২২৩ রান এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকান লরা ওলভার্টের ব্যাট থেকে। ২০ অক্টোবর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ২০ ওভারে তোলে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ উইকেটে ১২৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি। চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট দখলে নেওয়া অ্যামিলা ছিলেন ফাইনালের সেরা।
ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে ‘চোকার’ তকমা স্থায়ী হয়ে গেছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে প্রোটিয়াদের ‘ভাগ্য বিড়ম্বনা’ যেন পূর্ব-পরিকল্পিত! অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের পুরুষরা ক্রিকেটে একাধিকবার সম্ভাবনা জাগিয়ে পায়নি ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চূড়ান্ত সাফল্য। তবে ২০১৯-২১ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের ছেলেরা জিতেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। আর মেয়েরা দখলে নিয়েছে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি; যা কিউই ক্রিকেটে সোনালি সাফল্য হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।