অবশেষে হারের স্বাদ পেল রংপুর রাইডার্স। জিতলেই সবার আগে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলতেন নুরুল হাসান সোহানরা। তবে রংপুরকে অপেক্ষায় রাখল দুর্বার রাজশাহী। আজ দাপটের সঙ্গে ২৪ জিতেছেন তাসকিন আহমেদরা। এই জয়ে প্লে অফে খেলার আশাও বাঁচিয়ে রাখল রাজশাহী।
টানা ৮ জয়ের পর এবারের বিপিএলে প্রথম হারের স্বাদ পেল রংপুর। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ২৬ রান। হাতে ছিল ১ উইকেট। সেই সমীকরণ অবশ্য মেলাতে পারেনি। ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রংপুর থামে ১৪৬ রানে। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে নাহিদ রানাকে (০) বোল্ড করে রাজশাহীকে জয় এনে দেন তাসকিন।
হার দিয়ে চট্টগ্রাম পর্র শেষ করা রংপুর ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে সবার শীর্ষে। সোহানরা লিগ পর্বের বাকি তিন ম্যাচ খেলবে মিরপুরে ফিরে। জয়ে ফেরা তাসকিনরাও পরের দুই ম্যাচ খেলবে মিরপুর। ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে ওঠে এসেছে রাজশাহী।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতলেও রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুর। সুযোগটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ হারিস (১৯) ও সাব্বির হোসেন (৩৯)। দুজনের ২৪ রানের জুটি ভাঙার পর দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল হক বিজয়ের (৩৪) সঙ্গে ২৯ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন সাব্বির।
এরপরই আসে জোড়া আঘাত। ইনিংসের অষ্টম ওভারে সাব্বির ও রায়ান বার্লকে (০) ফেরান খুশদিল শাহ। অবশ্য তাতেও থামেনি রাজশাহীর রানের চাকা। ৩২ বলে ২ চার ৬ ছয়ে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ইয়াসির আলী রাব্বি। তাঁকেও ফেরান খুশদিল। পাকিস্তানি স্পিনারের পাশাপাশি রংপুরের হয়ে ৩ উইকেট নেন তাঁর স্বদেশি পেসার আকিফ জাবেদ। রাজশাহীর ইনিংসের শেষ দিকে কাউকে দুই অঙ্কের রান ছুঁতে দেননি তিনি।
ব্যাটিং ব্যর্থতাটা বার্ল পুষিয়ে দেন বল হাতে। রংপুরের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন এই জিম্বাবুয়ান লেগি। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন বার্ল। তার আগে ওপেনার স্টিভেন টেইলর (৪) ও ইফতিখার আহমেদকে (০) ফিরিয়ে রংপুরকে চাপে ফেলে দেন স্পিনার এসএম মেহেরব।
রংপুরে হয়ে যা একটু লড়েছেন সাইফ হাসান (৪৩) ও অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক সোহান (৪১)। ১৪ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলা অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন ১৯তম ওভারে বার্লের বলে আউট হলে কার্যত শেষ হয়ে যায় রংপুরের জয়ের আশা।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : খেলা ক্রিকেট দুর্বার রাজশাহী রংপুর রাইডার্স
© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh