ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার গেণ্ডারিয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার আরেক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর একটি দল গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রিটের দুটি বাসায় একযোগে অভিযান চালায়।

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও র‌্যাব সদরদপ্তরের উপ-পরিচালক (মিডিয়া) সুজয় সরকার জানান, তারা আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছেন। 

র‌্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম ফয়জুল ইসলাম বলেন, নিচতলার ওই বাসায় কেউ থাকত না। বেশ সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা ছিল সবকিছু। এনু-রুপনের দুই ডজন বাড়ির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এ বাসার সন্ধান পাই।

তিনি বলেন, অভিযানে ওই বাড়িতে টাকা ভর্তি পাঁচটি সিন্ধুক পাওয়া গেছে। সেইসাথে পাওয়া গেছে পাঁচ কোটি টাকার এফডিআর ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার। সিন্দুকে পাওয়া নগদ টাকা গোণার কাজ এখন চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে টাকার অংক ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকাও হতে পারে। টাকা গোণার জন্য মেশিন আনা হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি নগদ ৪০ লাখ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ এনামুল ও রুপনকে কেরোনীগঞ্জের সুবাদ্দা এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে অর্থ পাচার মামলায় দুই ভাইয়ের প্রত্যেককে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে গেন্ডারিয়ায়া এলাকায় তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি নগদ টাকা ও আট হাজার ৭২ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধারের পর থেকেই পলাতক ছিলেন এনামুল ও রুপন। তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের চারটি মামলা দায়ের করা হয়।

অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-মহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, দুই ভাইয়ের ২২টি বাড়ি রয়েছে, যার বেশিরভাগই পুরান ঢাকায়। সেইসাথে ৯১টি ব্যাংক হিসেবে ১৯ কোটি টাকা ও পাঁচটি ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে।

ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের পরিচালক এনু ছিলেন গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। আর তার ভাই রুপন ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।