Logo
×

Follow Us

অপরাধ

৮টি গোপন বন্দিশালা শনাক্ত করেছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৬

৮টি গোপন বন্দিশালা শনাক্ত করেছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন

গোপন বন্দিশালা। ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

গুম হওয়া ব্যক্তিদের আটকে রাখা হতো, এমন আটটি গোপন বন্দিশালা শনাক্ত করেছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।

গোপন বন্দিশালা দেখতে তদন্ত কমিশন যেসব দপ্তরে গিয়েছে সেগুলো হলো, ডিজিএফআই, সিটিটিসি, ডিএমপির ডিবির প্রধান কার্যালয়, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ডিবি, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ইউনিট ২, ৪, ৭ ও ১১, র‍্যাব ২, সিপিসি ৩, র‍্যাবের সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার এবং এনএসআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়।

কমিশনের ভাষ্যমতে, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), র‌্যাব ও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের মতো সংস্থাগুলো এসব গোপন বন্দিশালা পরিচালনা করত। এ সব গোপন বন্দিশালায় গুমের শিকার ব্যক্তিদের আটকে রাখা হতো। এর পাশাপাশি গুমের শিকার ব্যক্তিদের কাউকে কাউকে সাধারণ বন্দিদের সঙ্গেও রাখা হতো।

গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। কমিশন গত শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি জমা দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গুমের ঘটনায় কমিশনে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৭৫৮টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে গুমের শিকার ব্যক্তিদের কীভাবে দিনের পর দিন সবার চোখের আড়ালে বন্দি করে রাখা হতো, তা উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিভিন্ন মেয়াদে বন্দি করে রাখা হতো। তাদের ৪৮–৬০ ঘণ্টা থেকে কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস, এমনকি কয়েকজনকে আট বছর পর্যন্ত বন্দি করে রাখা হয়।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫