
বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন গোপালগঞ্জে সাভানা ইকো রিসোর্টে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল। আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জে সাভানা ইকো রিসোর্টে বেলা ১১টা থেকে এ অভিযান চালানো হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের পরিচালক মো. তারিক ইকবার ও ওয়াকিল আহমদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের টিম ওই অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।
এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও বিপুল সংখ্যক নথিপত্র যাচাইবাছাই করেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
মূলত সম্পদের হিসাব বিবরণীতে দেওয়া তথ্যের সাথে মাঠের বাস্তবতা মিলিয়ে দেখতেই এ অভিযান বলেও জানান তারা।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, সাভানা ইকো রিসোর্টে ১৪টি কটেজ, ২০টি পুকুর ও শিশু পার্কের সন্ধান মেলেছে। বর্তমানে রিসোর্টটি জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এর আগে কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অসংখ্য অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা অসংখ্য জমি এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে তাদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে রিসোর্ট তৈরির প্রায় সব জমিই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভয় দেখিয়ে এবং নানা কৌশলে কিনে নেন তিনি। আবার অনেক জমি নেয়া হয় জবরদখল করেও। রিসোর্ট ও অন্যান্য স্থাপনা মিলে ওই এলাকায় ১ হাজার ৪০০ বিঘা জমি বেনজীরের দখলে রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
বেনজীর আহমেদ ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকাকালীন গোপালগঞ্জের বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন এই রিসোর্ট ও পার্ক।
এসব অভিযোগের তদন্তে গত বছরের ৫ জুন, দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল সাভানা রিসোর্ট পরিদর্শন করে। এর আগে, ৩ জুন পার্কটি বন্ধ করে দেয় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।