সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর শৈ সিংয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৬

সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। ছবি: সংগৃহীত
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে আদালত বীর বাহাদুরের স্ত্রী মে হ্লা প্রু এবং তাদের সন্তান উ সিং হাই, থোওয়াই শৈ ওয়াং এবং ম্যা ম্যা খিং ভেনাসের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক। আবেদন মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।’
বীর বাহাদুর উ শৈ সিংয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান করছে দুদক।
তদন্ত সংস্থাটির ভাষ্য, উ শৈ সিং ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। সেজন্য অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া প্রয়োজন।
উ শৈ সিং সবশেষ সংসদ নির্বাচনে বান্দরবান আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে সপ্তমবারের মত সংসদ সদস্য হন।
তৌফিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সিটিজেন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৌফিকা আফতাব ওরফে তৌফিকা করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আবেদনে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, ‘ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তৌফিকা আফতাবসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের জন্য অনুসন্ধানী টিম গঠন করেছে দুদক।
‘‘অনুসন্ধানকালে দেখা গেছে, আনিসুল হকের বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন হিসেবে আইন মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন বিচারিক আদালতে নিয়োগ, বদলি, জামিনসহ বিভিন্ন অবৈধ তদবির বাণিজ্য, দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ ও অন্যান্য নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন তৌফিকা আফতাব।
অবৈধ আয়ের টাকায় তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিকানা অর্জন করেছেন। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ও সিটিজেনস ব্যাংকে তার নামীয় অ্যাকাউন্টে ২৩ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৩৭ টাকা গচ্ছিত রয়েছে। সিটিজেন ব্যাংকে তার ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে।’
দুদক বলছে, ‘তৌফিকা আফতাব অবৈধভাবে অর্জিত উক্ত সম্পদ হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তার বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।’