রাজধানীর খিলক্ষেতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মব সৃষ্টি করে এক কিশোরকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ সময় পুলিশের ওপরও হামলা চালায় তারা। এতে ৭-৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাত ১১টার পর খিলক্ষেত বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

রাত আড়াইটা পর্যন্ত গণপিটুনির শিকার যুবকের নামপরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানায়, হামলায় গুরুতর আহত খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমানকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খিলক্ষেত থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) ইসমাইল হোসেন এসব তথ্য জানান। গণপিটুনির কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওইসব ভিডিওতে দেখা যায়, শত শত মানুষ ওই তরুণকে ঘিরে আছেন। তার ভেতরে কয়কজন ব্যক্তি অভিযুক্ত তরুণকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। বাকিরাও উত্তেজিত অবস্থায় ছিলেন।

রাত আড়াইটায় এএসআই ইসমাইল হোসেন সাম্প্রতিক দেশকাল নিউজকে বলেন, “খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়। পরে গাড়িতে করে থানায় আনার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা খিলক্ষেত বাজারের কাছে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং ছেলেটিকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলে ৭-৮ পুলিশ সদস্য আহত হন। এছাড়া পুলিশকে বহন করা গাড়ি ভেঙে একদম শেষ করে দিয়েছে।”

ইসমাইল আরও বলেন, “পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।”

এএসআই ইসমাইল জানান, “জনতার হাত থেকে ওই তরুণকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।”