তারেকুজ্জামান রাজীব। ছবি: সংগৃহীত
মাদক ও অস্ত্র আইনের দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের (মোহাম্মদপুর) কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে ১৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
রাজীবকে গতকাল রবিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ভাটারা থানায় সোপর্দ করে ওই দুই মামলা দেয় র্যাব। পরে রাতেই তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মাদক মামলায় ১০ দিন ও অস্ত্র আইনে করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা রাত ১১টার দিকে মাদক মামলায় সাতদিন ও অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গত শনিবার রাতে একটি বাসা থেকে রাজীবকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই বাসা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, সাত বোতল বিদেশি মদ, একটি পাসপোর্ট ও নগদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে রাতেই রাজীবকে নিয়ে তার মোহাম্মদপুরের বাসা ও কাউন্সিলর অফিসে অভিযান চালায় র্যাব। তার বাসায় কিছু দিন আগে পাঁচ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার রশিদ পাওয়া যায়। র্যাব-১ এর কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাকে ভাটারা থানায় পাঠানো হয়।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগে রাজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানায় র্যাব। তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর এলাকায় বাড়ি দখল জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান আদালতে আসামির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজিসহ অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ আনেন এবং তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি বলে জানান।
আসামিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে রাজীবকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই তাকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
মোহাম্মদপুর এলাকার সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাজিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ হয়েছে তার এলাকায়।
