
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার চিঠি পৌঁছানোর ১৩ মিনিট আগে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে পালিয়ে যান এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদার।
সোমবার (১ মার্চ) ইমিগ্রেশন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামী ১৫ মার্চ এ বিষয়ে শুনানি হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, পিকে হালদার ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪৭মিনিটে দেশত্যাগ করেন। দেশত্যাগের সময় পিকে হালদার বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছে।
প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কীভাবে পি কে হালদার দেশ ত্যাগ করেছেন তা জানতে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিল।
ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের জানিয়েছেন, ২৩ অক্টোবর চিঠি পাওয়ার পর তারা অফিশিয়াল কাজ শেষ করে বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে দেশের সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দরে তার কপি পাঠিয়ে দেন, যাতে পিকে হালদার দেশত্যাগ করতে না পারেন।
তিনি বলেন, এছাড়া দুদকের চিঠিতে পি কে হালদারের পাসপোর্টের নম্বর দেয়া ছিল না। শুধু নাম দেয়া ছিল। ইমিগ্রেশন ‘সেই বাইনেমেই’ তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
ইমিগ্রেশন পুলিশ বলেছে, ডি কে হালদারের কানাডার আরেকটি পাসপোর্ট রয়েছে। তবে তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়েই বেনাপোল স্থলবন্দর পার হন।
তিনি জানান, আগামী ১৫ মার্চ এ বিষয়ে সব তথ্য আদালতে উপস্থাপন করবেন। সেই দিন এ বিষয়ে আরো শুনানি হবে।