
মতিয়ার রহমান
ভয়ংকর সেই মতিয়ার রহমান ওরফে
মন্টু ডাকাতকে অবশেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা মতিয়ার
বেসরকারিভাবে সৌদি আরবে হজে গিয়ে ভিক্ষা করতেন।
গত শুক্রবার হজ শেষে দেশে ফেরার
সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে ঢাকার
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ঢাকার অপরাধ,
তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জাফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মতিয়ার রহমান ওরফে মন্টু মেহেরপুরের
গাংনী উপজেলার সিন্দুরকোটা গ্রামের মৃত হারুন-অর-রশিদের ছেলে।
ডিসি জাফর বলেন, গত ৩০ জুলাই
ঢাকার সিএমএম আদালতে করা জিডি অনুযায়ী ৫৪ ধারায় মন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আচরণে
দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে বলে প্রতিবেদন আনা হয়েছে।
৫৪ ধারার আবেদনে উল্লেখ করা
হয়, আসামি গত ১৮ জুন ধানসিঁড়ি ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজ করতে সৌদি আরব যান। এরপরে হজ না
করে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। ভিক্ষাবৃত্তির খবর পেয়ে মদিনা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এরপরে এজেন্সির মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত
হয়। এতে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়।
মিন্টুকে গত শনিবার ঢাকার চিফ
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর
আদেশ দেন সিএমএম আদালত। এ মামলায় ওই দিন জামিনের আবেদন করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আবুল
কালাম আজাদ।
আবুল কালাম আজাদের অ্যাসোসিয়টের
সদস্য কামরুজ্জামান সুমন বলেন, আসামির দুই হাত নেই। তবে, তার বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে।
আসামির আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে এসব জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে যান। গত ২২ জুন হজ পালনের সময় মদিনায় ভিক্ষাবৃত্তি করার সময় সৌদি পুলিশের হাতে আটক হন। আর এই খবর দেশের অন্যান্য গণমাধ্যমসহ সাম্প্রতিক দেশকাল অনলাইনেও প্রকাশ হয়।