সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক দুই মন্ত্রীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী এই তারিখ ধার্য করেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। মোহাম্মদপুর থানা মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে আবার আদালতে এজাহার পাঠিয়ে দেন।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী ওই এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন। মামলার বাদীর আইনজীবী মো. মামুন মিয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল–সংক্রান্ত তারিখ ধার্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজধানীর একজন ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা শিতল বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল–মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা পুলিশ কর্মকর্তা বা পুলিশের সদস্য ও তৎকালীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজ্ঞাত নামা হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর তার বিরুদ্ধে এটি প্রথম মামলা।
মামলার বাদী একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এই মামলা করেছেন বলে আরজিতে উল্লেখ করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওই সব শান্তপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালায়। বহু ছাত্র–জনতা নিহত ও আহত হন।
গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বছিলায় ৪০ ফুট এলাকায় ছাত্র–জনতা শান্তপূর্ণ মিছিল–সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।
মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলেসন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় বাদী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই মামলা করলেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, কাদের ও কামালসহ আসামি অনেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, কাদের ও কামালসহ আসামি অনেকে
বাদী মামলার অভিযোগে আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই বিচার হওয়া প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হত্যা মামলা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh