ছাত্রদলের পারভেজ হত্যায় ‘বৈষম্যবিরোধী’র নেতা গ্রেপ্তার

ঢাকার আলোচিত হত্যাকাণ্ড বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার আসামি মো. হৃদয় মিয়াজীকে গ্রেপ্তার করেছে তিতাস থানা পুলিশ।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মনাইরকান্দি থেকে সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর হৃদয়কে র‌্যাবের কাছে মঙ্গলবার হস্তান্তর করা হয়।

পারভেজ হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি তিনি।

সন্ধ্যায় তিতাস থানার ওসি মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, “র‌্যাব-১১ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার রাতে বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামের হারুন-উর-রশিদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় বাসা থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। হৃদয় উপজেলার দুর্লব্দী গ্রামের বাসিন্দা।

ঘটনার পর তিনি এলাকায় এসে নিজ বাড়িতে না থেকে মামার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।”

গ্রেপ্তার হৃদয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ওসি মো. রাসেল সারোয়ার।

শনিবার বিকালে রাজধানীর বনানীতে বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কিছু শিক্ষার্থীর মধ্যে বিবাদের জেরে ‘ছুরিকাঘাতে’ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবীর রবিবার বনানী থানায় আট জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে চায়ের দোকানে আড্ডার সময় ছোট্ট একটি ঘটনায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে পারভেজকে।

নিহত পারভেজকে নিজেদের কর্মী দাবি করে রবিবার সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী শাখার পাঁচ নেতাসহ বাহিরাগত গ্যাংয়ের সদস্যদের’ দায়ী করে।

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্রদলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই ঘটনায় তাদের নেতারা জড়িত নন। ছাত্রদল মিথ্যাচার করছে।