
বাংলাদেশ সরকার
সরকারি চাকরিজীবীদের নিজের জিপিএফ হিসাব নিজেই রাখতে হয়। ভুলভ্রান্তি এড়াতে হিসাবের পদ্ধতিগুলো জেনে রাখুন।কোন চাঁদাদাতা যদি সারা বৎসর একইভাবে চাঁদা প্রদান করেন। তাহার প্রারম্ভিক জের থাকে এবং অগ্রিম উত্তোলন না করে থাকেন। সেক্ষেত্রে সুদ নির্ণয়ের পদ্ধতি হবে:
১। সূত্র: চাঁদার হার * মােট মাস * সুদের হার/১২০০ =ফলাফল
উদাহরণঃ জনাব সিফাত আরা শাফিনা সারা বছর ৮০০০/- টাকা হারে চাঁদা প্রদান করেন, তাহার প্রারম্ভিক ১০,৮৩,৭২৯/- টাকা এবং তিনি কোন রকম উত্তোলন করেননি সেক্ষেত্রে নিম্নরূপ সূত্রের সাহায্যে সুদ নিণয় করা যাবে।
সূত্র: সুদ= চাঁদার হার x ৬.৫ + প্রারম্ভিক স্থিতি x সুদের হার %
= ৮০০০ X ৬.৫ + ১০৮৩৭২৯ X ১৩%
= ১,৪৭,৬৪৪/৭৭ (সুদ)।
নােট: [উক্তরূপে নির্ণয়কৃত সুদের পয়সার ক্ষেত্রে ৫০ পয়সা বা তদুর্ধ পরবর্তী নিকটবর্তী টাকায় রূপান্তর করিতে হইবে]। [বিঃদ্রঃ এইরূপভাবে প্রারম্ভিক জের এবং বৎসরের জমার উপর একত্রে সুদ নির্ণয় করা যায়)
২। চাঁদা দাতা যদি সারা বৎসর একরূপ হারে চাদা কর্তন না করেন এবং আগ্রম উত্তোলন করে থাকেন সেক্ষেত্রে নিম্নরূপভাবে সুদ নির্ণয় করা হবে।
ক) প্রারম্ভিক জেরের উপর পৃথকভাবে সুদ নির্ণয় করতে হবে।
খ) বৎসরের জমার উপর প্রথম মাস হইতে প্রগ্রেসিভ মােট নির্ণয় করিয়া প্রগ্রেসিভ মােট একত্রিত করিয়া সুদ নির্ণয় করা যাইবে।
সূত্রঃ (প্রাগ্রেসিভ মােটের যােগফল x সুদের হার %)/ ১২
উক্ত ক এবং খ এর যোগফল থেকে উক্ত বৎসরের অগ্রিম উত্তোলনের সুদ বাদ দিয়ে প্রদেয় সুদ নির্ণয় করা যাইবে।
৩। সিজিএ মহোদয়ের কার্যালয় হতে চার্টের মাধ্যমে সুদ নির্ণয় করা যাইবে।
নোট: উক্তরূপে নির্ণয়কৃত সুদের পয়সার ক্ষেত্রে ৫০ পর্যসা বা তদুর্ধ পরবর্তী নিকটবর্তী টাকায় রুপান্তর করিতে হইবে।
৪। মাসিক চাঁদার পরিমাণ একরূপ অর্থাৎ একই পরিমাণ থাকিলে মোট মাস নিম্নোক্ত ভাবে বাহির করিতে হইবে।
৫। মাসিক চাঁদার পরিমাণ একক হইলে মোট মাস নিম্নোক্তভাবে বাহির করিতে হইবে।