Logo
×

Follow Us

ঢালিউড

নিজেকে গড়তে হলে সমালোচনা নিতে জানতে হবে : বাঁধন

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৬

নিজেকে গড়তে হলে সমালোচনা নিতে জানতে হবে : বাঁধন

আজমেরী হক বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত

এ সময়ের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ব্যতিক্রমধর্মী চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকমহলে সাড়া ফেলে চলছেন প্রতিনিয়ত। আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘রেহানা মরিয়ম নূর’, সৃজিত মুখার্জির ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ ও সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া শঙ্খ দাসগুপ্তের ‘গুটি’ তাকে চিনিয়েছে নতুন করে। নিজের কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে কথা বলেছেন মেধাবী এ অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক। 

গত ৫ জানুয়ারি ‘চরকি’ প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে আপনার প্রথম দেশি ওয়েব সিরিজ ‘গুটি’। সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি। এর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও আছে। দর্শকের দৃষ্টিভঙ্গি একেক ধরনের। কাজটি দেখার পর দর্শকের মনে প্রশ্ন জাগবে এটিই স্বাভাবিক। তারা সেগুলো লিখছে। আমি শেয়ার করছি। কেউ কেউ বলছেন, যেগুলো খুব বেশি ইতিবাচক না সেগুলোও তুমি শেয়ার করছ। আমার মতে, প্রত্যেকের দেখার জায়গা আলাদা। নিজেকে ভালোভাবে গড়তে হলে সমালোচনা নিতে জানতে হবে। সমালোচনা শুনলে পরের কাজটি আরও ভালো করার চেষ্টা করা যায়। দর্শক অভিনয়ের প্রশংসা করছে। কেউ কেউ প্লট ভালো লেগেছে সে কথা বলছে। অভিনয়শিল্পীদের প্রশংসা শুনছি। আনন্দ লাগছে এসব শুনে। আবার অন্য মতামতও দিচ্ছে কেউ কেউ। বলছে, টুইস্ট নেই। ড্রাগসের বিষয় আরও বিস্তারিত দেখানো যেত। আমি সবার মতামতকে সম্মান জানাই।

এটি আপনার দ্বিতীয় ওয়েব সিরিজ। প্রথম করলেন কলকাতায়- সৃজিতের  ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’। দুটোর অভিজ্ঞতা তো দুই ধরনের?
হ্যাঁ, দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। যখন সৃজিতের কাজটি করি তখন একরকম ছিলাম। এখন আরেক রকম। হইচইয়ের কাজটির মাধ্যমে দেশের বাইরে পরিচিতি পেয়েছি। কলকাতার দর্শক আমার নতুন কাজ ‘গুটি’ দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমাদের কাজের দর্শক তৈরি হয়েছে দেশের বাইরেও। আসলে গ্লোবালাইজেশনের যুগে ঘরের মধ্যে বসে থাকব এ ভাবনা অমূলক। 

দর্শক আপনাকে এখন চরিত্রের নামে ডাকছে, এ বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন?
রেহানা, মুশকান, সুলতানা- প্রত্যেকটিকে আলাদা চরিত্র হিসেবে প্রকাশ করতে পেরেছি। আমাদের দেশে দেখা যায়, একটি চরিত্র সফল হলে নির্মাতারা সে চরিত্রেই অভিনয়শিল্পীকে বেশি কাস্ট করতে চান। এতে করে তিনি টাইপড হয়ে যান। এখানে অভিনয়শিল্পীর দোষ নেই। যারা তাকে নিয়ে কাজ করেন তারা অলসতা ও ঝুঁকি না নেওয়ার প্রবণতা থেকে এমনটি করেন। যেমন- সাদ আমাকে নিয়ে ‘রেহানা’ চরিত্রটি উপস্থাপনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তিনি আমাকে তৈরি করেছেন। একটি চরিত্র ঠিকঠাক ফুটিয়ে তুলতে নির্মাতা যে শ্রম ও সময় দিয়েছেন তা কয়জন দেবে?

‘সুলতানা’ চরিত্র ধারণ করা নিশ্চয়ই কঠিন ছিল?
ভীষণ। যখন কাজটি করেছি তখন বেশ স্ট্রেসফুল ছিল। মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্ট করেছি। 

কখনো রেহানা, কখনো মুশকান, কখনো সুলতানা। নিজেকে বিভিন্ন চরিত্রে উপস্থাপন করছেন। বিভিন্ন চরিত্র ধারণের কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
একেকটি চরিত্রের অভিজ্ঞতা একেক রকম। রেহানার সময় এতটা ট্রেইনড ছিলাম না। আমি বিভিন্ন সময় বলেছি, ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ আমার জন্য অভিনয়ের স্কুলিং। এ সময় গ্রুমড হয়ে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করেছি। এর আগে এতটা ম্যাচুরিটি ছিল না। ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ করতে গিয়ে যা শিখেছি তা কাজে লেগেছে ‘মুশকান জুবেরী’ ও ‘সুলতানা’ হয়ে উঠতে। এজন্য নির্মাতাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে এসব চরিত্রে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। একেকটি চরিত্র বহন করলে সে চরিত্রের ভালো-মন্দ বহন করতে হয়। এ কাজটি করতে ভালো লাগছে। যত দিন এ ভালো লাগা থাকবে, তত দিন চরিত্রের সঙ্গে দর্শক সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কেমন সম্ভাবনা দেখছেন?
খুব ভালো সম্ভাবনা দেখছি। অভিনয়শিল্পীদের নতুন জীবন দিচ্ছে এ প্ল্যাটফর্ম। ‘গুটি’তে জয় ভাই অসম্ভব ভালো অভিনয় করেছেন। তিনি নিজেকে ছাপিয়ে যাবেন এমনটা ভাবেননি অনেকে। তাই আমার মনে হয় এ প্ল্যাটফর্ম অপার সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে অভিনয়শিল্পী, দর্শক সবার জন্য।

একসময় প্রচুর নাটক করতেন। এখন ওটিটি ও সিনেমায় কাজ করছেন। নাটকে কখনো ফিরবেন?
ফিরব না বলার সুযোগ নেই। এখন আমার যে অবস্থান, যে ধরনের কাজ করছি; তেমন চরিত্র পেলে নাটক করব।

বছর শুরু হলো ‘গুটি’ দিয়ে। সামনে আসবে বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুফিয়া’। বছরটা তাহলে বাঁধনময় হতে যাচ্ছে?
বাঁধনময় হবে কিনা জানি না। আমি প্রতিনিয়ত যেন নিজেকে সংশোধন করতে পারি। প্রক্রিয়াটা যেন অব্যাহত থাকে, নতুন বছরে এই প্রত্যাশা।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫