
চিত্রনায়িকা শাবনূর। ফাইল ছবি
ঢাকাই সিনেমায় নন্দিত চিত্রনায়িকা শাবনূর। ১৯৯৩ সালে প্রয়াত নির্মাতা এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এই চলচ্চিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন সাব্বির। ১৯৯৪ সালে জহিরুল হকের ‘তুমি আমার’ চলচ্চিত্রে সালমান শাহর বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। এই চলচ্চিত্রটির পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রীকে।
একের পর এক সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন ঢালিউডের এই ‘স্বপ্নের নায়িকা’। ২০১৫ সালে তাকে সর্বশেষ ‘পাগল মানুষ’ সিনেমায় দেখা গেছে। এর মধ্যে ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধেন শাবনূর। তবে বনিবনা না হওয়ায় ২০২০ বছর ২৬ জানুয়ারি তাদের বিচ্ছেদ হয়।
এদিকে অভিনয় থেকে দূরে সরে দীর্ঘদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বসবাস করছেন তিনি। সেখানে ছেলে আইজান, মা, ভাই, বোনসহ স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর তিনি দেশে ফিরতেন। কিন্তু এবারই প্রথম তিন বছর পর দেশে এলেন ঢালিউডকন্যা। তাও অনেকটা গোপনেই দেশে আসেন। গেল ১৭ ডিসেম্বর ছিল নায়িকার জন্মদিন। এ দিনেই গুঞ্জন ওঠে আবারও সিনেমায় ফিরছেন ‘আনন্দ অশ্রু’খ্যাত নায়িকা। আগামী বছরের দুই ঈদের যে কোনো একটিতে তাকে চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা যাবে। সেই ছবিতে শাবনূরের বিপরীতে থাকবেন মাহফুজ আহমেদ। পরিচালনা করবেন চয়নিকা চৌধুরী। এর মধ্যে জানা গেল শাবনূর অভিনীত নতুন ছবিটি হতে যাচ্ছে ‘মাতাল হাওয়া’। এটি পরিচালনা করবেন চয়নিকা চৌধুরী।
শাবনূর বলেন, ‘মাতাল হাওয়া’ ছবির গল্পটা ভীষণ ভালো লেগেছে। মনে মনে এমন একটি গল্প ও চরিত্রের খোঁজ করছিলাম। পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী যেভাবে গল্পটা ব্রিফ করেছেন, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এ ছাড়া চিত্রনাট্য এতবার পড়ে আশ্বস্ত হয়েছি।’
২০০৫ সালে মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান শাবনূর। এ ছাড়া ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রের জন্য ২০০৩ সালে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন এই অভিনেত্রী। সালমান শাহর মৃত্যুর পর নায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস, মান্না ও শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে পর্দায় হাজির হয়েছেন শাবনূর।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তুমি আমার’ ‘বিক্ষোভ’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘তোমাকে চাই’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘নারীর মন’, ‘ফুল নেব না অশ্রু নেব’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘শ্বশুর বাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ইত্যাদি।